Qalara-র মাধ্যমে ভারতের প্রায় ৭৫ হাজারের বেশি ট্র্যাডিশনাল প্রডাক্ট বিশ্ববাজারের ক্রেতার কাছে খুব সহজেই পৌঁছে গিয়েছে। এর মাধ্যমে হোম ডেকর, হোম টেক্সটাইল, ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজ, টয়, কিচেন, ডাইনিং, গিফটিং, আউটডোর, ফার্নিচার ইত্যাদির মতো প্রডাক্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুরো বিশ্বে (Traditional Sabai Grass placemats from Bengal reach Hongkong on the platform)।
আরও পড়ুন- বাড়তে শুরু করেছে বেড়াতে যাওয়ার চাহিদা, আন্তর্জাতিক পর্যটনে তুমুল আগ্রহী কলকাতা!
advertisement
Qalara-র মাধ্যমে গ্লোবাল মার্কেটে পরিচিতি লাভ করেছে ভারতের বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট। এর ফলে ভারতের এই প্রডাক্টগুলোর চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে গ্লোবাল মার্কেটে। কালারার মাধ্যমে ভারতের চিন্নামালাইয়ের হাতে বোনা কিচেন টাওয়েল পৌঁছে গিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে, ভারতের ময়ুরভঞ্জ, ওড়িশা এবং বাংলার সাবাই ঘাস পৌঁছে গিয়েছে হংকংয়ে, ভারতের মণিপুরের লংপি পৌঁছে গিয়েছে কানাডায়, ভারতের সাহারানপুরের হ্যান্ডক্রাফট উডেন ডেকর পৌঁছে গিয়েছে মরিশাসে, ভারতের ওড়িশার হাতে আঁকা পটচিত্র পৌঁছে গিয়েছে লন্ডনে, ভারতের আগ্রার হ্যান্ডমেড সোপস্টোন বার্নার পৌঁছে গিয়েছে ইউনাইটেড কিংডমে, ভারতের জয়পুরের ট্র্যাডিশনাল জুয়েলারি পৌঁছে গিয়েছে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউএসএ এবং অন্যান্য দেশে।
Qalara হল রিলায়েন্সের অধীনস্থ একটি ইউনিক বিটুবি ক্রস-বর্ডার (B2B Cross-Border) টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম। এর সঙ্গে রেজিস্টার করা রয়েছে প্রায় ৬০০-র বেশি বৃহৎ, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ম্যানুফাকচারার, ক্রেতা এবং রপ্তানিকারিদের। এখানে রেজিস্টার করা রয়েছে ৫০টির বেশি দেশের ক্রেতাদেরও। কালারা ১ বছরের মধ্যে প্রায় ৪০টির বেশি দেশে ডেলিভারি করেছে বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট। কালারা হল একটি সাপ্লাই চেন সংস্থা। যার কাজ হল বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট খুঁজে বের করা, প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, আন্তর্জাতিক পার্টনারশিপের ব্যবস্থা করা। এর মাধ্যমে ভারতের প্রায় ১ হাজারেরও বেশি প্রডাক্ট প্লেনে অথবা জাহাজে বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। এরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রডাক্ট ডেলিভারি করে এবং এখানে গ্লোবাল পেমেন্ট সলিউশনের সুবিধাও পাওয়া যায়।
কালারার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ট্র্যাডিশনাল প্রডাক্টের চাহিদা বাড়ছে গ্লোবাল মার্কেটে। এশিয়ার সব থেকে বৃহৎ গিফট এবং হ্যান্ডিক্রাফট ফেয়ার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এখানেও কালারার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন ট্র্যাডিশনাল প্রডাক্ট পৌঁছে যাবে অনেক মানুষের কাছে। এর ফলে সাহায্য হচ্ছে সেই সকল প্রডাক্ট তৈরির কারিগরদের।