TRENDING:

Gerbera Farming: বেঙ্গালুরুর ফুল এখন পূর্ব মেদিনীপুরে! পলি গ্রিন হাউসের মাধ্যমে জারবেরা চাষে লাখ টাকা আয়

Last Updated:

Gerbera Farming: পলি গ্রীন হাউসে জারবেরা ফুলের চাষ করে কম খরচে বেশি লাভের পথ দেখাচ্ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের এক কৃষি বিশেষজ্ঞ। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ, সঠিক চারা রোপণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে মাসে ৫০–৬০ হাজার টাকার আয় সম্ভব এই চাষে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
এগরা, মদন মাইতি: জারবেরা ফুল মূলত বেঙ্গালুরুর অনুকূল পরিবেশে চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু উপকূলীয় জেলাতেও পলি গ্রীণ হাউসের মাধ্যমে জারবেরা ফুলের সফল চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন এগরার এক কৃষি বিশেষজ্ঞ। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক সম্মানপ্রাপ্ত কৃষি বিশেষজ্ঞ মাদল কুমার পাল। নিজের বাগানকেই তিনি ব্যবহার করছেন একপ্রকার ল্যাবরেটরি হিসেবে। বিভিন্ন ফল, ফুল ও শাকসবজির চাষ করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই—কম খরচে বেশি ফলন। কখনও অন্য অঞ্চলের ফল নিজের মাটিতে ফলিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। আবার কখনও নিজের অঞ্চলের ফসলকে উন্নত করতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।
advertisement

এবার সেই প্রচেষ্টার ফসল জারবেরা ফুলের চাষ, যা বহু কৃষকের কাছে নতুন আশা হয়ে উঠেছে।

প্রাথমিকভাবে ১২ ডিসমেল জমির ওপর মাদল বাবু একটি পলি গ্রিন হাউস তৈরি করেন। সেখানেই তিনি প্রথম জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন। তাঁর কথায়, ১২ ডিসমিল জমিতে একটি গ্রিন হাউস তৈরি করতে এবং জারবেরা চাষ করতে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। যদিও সরকারের কাছ থেকে তিনি প্রায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পেয়েছেন। ফলে চাষটি শুরু করা সহজ হয়েছে। খরচ কিছুটা বেশি হলেও লাভ তুলনামূলক অনেক বেশি। তাই প্রথম দিন থেকেই তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে এই চাষ কৃষকদের জন্য নতুন পথ খুলে দেবে।

advertisement

আরও পড়ুন: দিঘা ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ এবার দ্বিগুণ! জগন্নাথ ধামে চালু হয়ে গেল বসে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা, জেনে নিন বুকিং নম্বর

View More

জারবেরা চাষের সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি তুলনামূলক সহজ হলেও যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে জমির ওপর পলি শিট দিয়ে গ্রীণ হাউস তৈরি করতে হয়। জল নিকাশি ব্যবস্থা ভাল রাখতে হবে। মাটি গভীরভাবে চাষ করে জৈব সার মেশাতে হয়। এরপর জারবেরা চারা তৈরি করা হয়। চারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রোপণের উপযুক্ত হয়।

advertisement

প্রতিটি চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে চারা বসান হয়। সপ্তাহে অন্তত দুইবার কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। তিন মাসের মধ্যেই ফুল ধরতে শুরু করে। ফুল সংগ্রহের সময় ডাঁটা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই সতর্ক থাকতে হবে। পাইকারি বাজারে জারবেরা ফুলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে দামও ভালই পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: শীতের ছুটিতে ২-৩দিনের জন্য ঘুরে আসুন মহিষাদল রাজবাড়ি, অপূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন, খরচ সামান্যই হবে

advertisement

এই চাষে আবহাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে গরমকালে সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ফুলের মান নষ্ট হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। তিনি জানান, ভবিষ্যতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। তাঁর হিসেব অনুযায়ী, এই চাষ করে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বেঙ্গালুরুর ফুল এখন পূর্ব মেদিনীপুরে! পলি গ্রিন হাউসের মাধ্যমে জারবেরা চাষে লাখ টাকা আয়
আরও দেখুন

অনান্য প্রচলিত চাষের তুলনায় এটি অনেক লাভজনক। তাই আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় এলাকায় জারবেরা ফুলের চাষ অন্যতম আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে। কৃষকদের জন্য এটি সত্যিই নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে চলেছে।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Gerbera Farming: বেঙ্গালুরুর ফুল এখন পূর্ব মেদিনীপুরে! পলি গ্রিন হাউসের মাধ্যমে জারবেরা চাষে লাখ টাকা আয়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল