এবার সেই প্রচেষ্টার ফসল জারবেরা ফুলের চাষ, যা বহু কৃষকের কাছে নতুন আশা হয়ে উঠেছে।
প্রাথমিকভাবে ১২ ডিসমেল জমির ওপর মাদল বাবু একটি পলি গ্রিন হাউস তৈরি করেন। সেখানেই তিনি প্রথম জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন। তাঁর কথায়, ১২ ডিসমিল জমিতে একটি গ্রিন হাউস তৈরি করতে এবং জারবেরা চাষ করতে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। যদিও সরকারের কাছ থেকে তিনি প্রায় ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পেয়েছেন। ফলে চাষটি শুরু করা সহজ হয়েছে। খরচ কিছুটা বেশি হলেও লাভ তুলনামূলক অনেক বেশি। তাই প্রথম দিন থেকেই তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে এই চাষ কৃষকদের জন্য নতুন পথ খুলে দেবে।
advertisement
জারবেরা চাষের সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি তুলনামূলক সহজ হলেও যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে জমির ওপর পলি শিট দিয়ে গ্রীণ হাউস তৈরি করতে হয়। জল নিকাশি ব্যবস্থা ভাল রাখতে হবে। মাটি গভীরভাবে চাষ করে জৈব সার মেশাতে হয়। এরপর জারবেরা চারা তৈরি করা হয়। চারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রোপণের উপযুক্ত হয়।
প্রতিটি চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে চারা বসান হয়। সপ্তাহে অন্তত দুইবার কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। তিন মাসের মধ্যেই ফুল ধরতে শুরু করে। ফুল সংগ্রহের সময় ডাঁটা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই সতর্ক থাকতে হবে। পাইকারি বাজারে জারবেরা ফুলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে দামও ভালই পাওয়া যায়।
এই চাষে আবহাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে গরমকালে সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ফুলের মান নষ্ট হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত। তিনি জানান, ভবিষ্যতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি যুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। তাঁর হিসেব অনুযায়ী, এই চাষ করে মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।
অনান্য প্রচলিত চাষের তুলনায় এটি অনেক লাভজনক। তাই আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলীয় এলাকায় জারবেরা ফুলের চাষ অন্যতম আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে। কৃষকদের জন্য এটি সত্যিই নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে চলেছে।





