উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ ,হরিয়ানার পাশাপাশি বর্তমানে উত্তর দিনাজপুর জেলার গ্রামেগঞ্জে স্ট্রবেরি চাষ শুরু হয়েছে।স্ট্রবেরি চাষের জন্য বিখ্যাত উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশ। পাহাড়ি এলাকায় জন্মানো মিষ্টি লাল স্ট্রবেরির যেন স্বাদই যেন আলাদা।
এবার হিমাচল প্রদেশ থেকে স্ট্রবেরির চারা এনে পরীক্ষামূলকভাবে সেই স্টবেরি চাষ শুরু করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের মনোহরপুরের কৃষকঅবেন দেবশর্মা। এ বছর হিমাচল প্রদেশ থেকে স্ট্রবেরির চারা এনে সেই স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেছেন।
advertisement
জানা যায়, হিমাচল প্রদেশের এই স্ট্রবেরি অন্যান্য স্ট্রবেরির তুলনায় সুস্বাদু মিষ্টি এবং দীর্ঘস্থায়ী। কৃষক অবেন দেবশর্মা জানান ,গত বছর তিনি যে জাতের স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন সেই জাতের স্ট্রবেরি ভাল ছিল না একটুতেই পচে যেত। তাই এবারে তিনি হিমাচল প্রদেশের থেকে নিয়ে আসা বিশেষ এই জাতের স্ট্রবেরি চাষ শুরু করছেন।
আরও পড়ুন: রান্না হবে উনুনেই, ধোঁয়ার ঝামেলা ছাড়াই! ৬০০ পরিবার পাচ্ছে ধোঁয়াবিহীন উনুন
এই স্ট্রবেরি মার্কেটিং এর দিক থেকে ভীষণ ভাল। সহজেই এটা গলে না ও খেতেও ভারি মিষ্টি। তাই হিমাচল প্রদেশ থেকে ২০ টাকা পিস হিসেবে ৪০ থেকে ৫০ টি স্টবেরির চারা তিনি কিনে এনেছেন। এই স্ট্রবেরি তিনি আশ্বিনের শেষে লাগিয়েছেন। বর্তমানে ভাল ফলন হয়েছে এই স্ট্রবেরির। জানা যায় এই হিমাচল প্রদেশ থেকে আনা এই স্টবেরির একটি গাছ থেকে গড়ে ৬০০ গ্রাম স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। যা অন্যান্য জাতের তুলনায় অনেকটাই লাভজনক। স্ট্রবেরি রোপণের দেড় মাস পর স্ট্রবেরি ফল ধরতে শুরু করে এবং এই প্রক্রিয়া চার মাস চলতে থাকে।
এই জাতের স্ট্রবেরি সাধারণত সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে চাষ করা হলেও শীতল জায়গায় কিংবা পলি হাউস করে বছরের প্রায় যে কোন সময় এটি চাষ করা যেতে পারে। গাছে ফুল আসার সময় এই স্ট্রবেরি গেছে মালচিং করতে হবে। ৫০ মাইক্রন মোটা কালো রঙের পলিথিন দিয়ে মালচিং করতে হবে।এটি আগাছা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফল পচা প্রতিরোধ করে। এভাবেই আপনিও হিমাচল প্রদেশের এই স্ট্রবেরি আপনার বাড়ির আশেপাশের যে কোন জায়গায় চাষ করতে পারেন।
পিয়া গুপ্তা