আরও পড়ুন: ৯৯,৯৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই চা, রেকর্ড করল ‘গোল্ডেন পার্ল’!
সাধারণত চার রকম লকার হয়। ছোট, মাঝারি, বড় এবং খুব বড়। গ্রাহক তাঁর প্রয়োজন মতো লকার ভাড়া নিতে পারেন। লকার ফাঁকা থাকলে আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে তা মিলবে। না হলে ওয়েটিং লিস্টে নাম লেখাতে হবে। ফাঁকা হলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ডেকে নেবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লকারের কোনও ক্ষতি হলে বা লকারের সামগ্রী হারিয়ে গেলে ব্যাঙ্কগুলি দায়ী থাকবে না। লকার চুরি, ডাকাতি, অগ্নিকাণ্ড বা ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের দ্বারা প্রতারণা হলে ব্যাঙ্কের দায়িত্ব হবে লকারের ভাড়ার ১০০ গুণ পর্যন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: চেন্নাই-সহ একাধিক শহরে বদলাল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, দেখে নিন আপনার শহরে কত
লকার ভাঙার নিয়ম
প্রতি বছর লকার ভাড়া মেটাতে হয়। গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে তা কেটে নেয় ব্যাঙ্ক। ভাড়া না পেলে বা দীর্ঘদিন লকার ব্যবহার না করলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ লকার ভাঙতে পারে। তার আগে অবশ্য তিন বার গ্রাহককে চিঠি দিয়ে জানানো হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাহক যদি দীর্ঘদিন লকার না খোলেন তবে ব্যাঙ্কের লকার ভাঙার অধিকার রয়েছে।
গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়
তবে লকার ভাঙার আগে গ্রাহককে জানানো হয়। ফোন করে বা এসএমএসের মাধ্যমে গোটা বিষয়টা খুলে বলা হয়। পাঠানো হয় চিঠিও। এরপরেও কোনও সাড়া না পাওয়া গেলে, ব্যাঙ্কের তরফে সংবাদপত্রে নোটিস জারি করা হয় যে গ্রাহককে ব্যাঙ্কে এসে লকার খুলে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আরোগ্য সেতু অ্যাপে তৈরি করুন ‘ইউনিক হেলথ আইডি নম্বর’, পাবেন প্রচুর সুবিধা!
প্রক্রিয়া
এরপরও যদি গ্রাহক লকার খুলতে না আসেন, তখন ব্যাঙ্ক সাক্ষীদের ডাকে। একজন ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা এবং দুজন স্বাধীন ব্যক্তির উপস্থিতিতে লকার ভাঙা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়। লকার থেকে পাওয়া জিনিসগুলি একটি খামে সিল করে ফায়ার প্রুফ লকারে রাখা হয়। শুধু মাত্র লকার ফাঁকা করে অন্যকে সুযোগ করে দেওয়ায়ই এর উদ্দেশ্য। গ্রাহক পরে এসে দাবি করলেই নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে সেই সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।