কদমতলা দূর্গাবাড়িতে বসেছে বুটিক হস্তশিল্পের বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সম্ভার। তবে বিভিন্ন হস্তশিল্পীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন পোশাক থাকলেও নজর কেড়েছে বিভিন্ন আচারের স্টল গুলি।মেলায় দেখা গেল বিভিন্ন ধরনের আচারের সম্ভার।
মাটির ভাঁড়ে করে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। যেমন রয়েছে কুলের আচার , চালতার আচার , তেতুলের আচার এবং রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফলের আচারের সম্ভার।বিশেষত শহর ও গ্রামাঞ্চলের নারীরাই তাদের নিজের হাতে তৈরি আচার বিক্রি করছেন। গরমে শেষ পাতে আচারের জনপ্রিয়তা বহু যুগ ধরে।
advertisement
এই মেলায় গিয়ে দেখা গেল মাটির ভাড়ের আচার কিনতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে জলপাইগুড়িবাসীরা। বিক্রেতাদের কথায়, মায়ের হাতের আচারের স্বাদ আছে এই আচারে। সেই হাতের স্বাদ নিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে।তেমনই এক বিক্রেতা রিমা আলম বলেন, এই প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। বাড়িতে আচার বানিয়ে বিক্রি করার ভাবনা মাথায় আসতেই শুরু করে দিলাম। ভাল বিক্রি হলে এই ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আর্থিক সমস্যাও ঘুচবে। পাশাপাশি গ্রাম বাংলার নারীদেরও কর্মসংস্থানের নতুন দিশা হতে পারে। আচার গুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে মাটির ভাড়ের ব্যবহার। দামও খুব কম। সামান্য মূল্যের এই আচার কিনতে ভীড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।
হস্তশিল্পের মেলায় বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সম্ভারও রয়েছে। চৈত্র মাস আসলেই সাধারণ মানুষের কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। তাই ভীড় রয়েছে পোশাকের স্টল গুলিতেও। একজন ক্রেতা সুজাতা দাস বলেন, মেলায় হস্তশিল্পীদের হাতে তৈরি পোশাক কিনতে এসেছিলাম। মাটির ভাড়ে এমন সুস্বাদু আচার দেখে জিভে জল এসে গেলো। খেতেও খুব স্বাদ। দামও এক্কেবারে সাধ্যের মধ্যে। তাই চট করে কিনে ফেললাম।