আরও পড়ুন: বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি-সহ কত কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর!
প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রতিটি কর্মচারীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে বেসরকারি কর্মচারীদের যেহেতু পেনশনের সুবিধা থাকে না, তাই অবসরের পর দিন গুজরান করতে পিএফ অ্যাকাউন্টই তাঁদের শেষ সম্বল। ফলে প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে কর বসানোর খবরে চিন্তিত অধিকাংশ চাকরিজীবীই। তবে আশার কথা হল, পিএফ অ্যাকাউন্টে কর বসছে না। বিশেষ কিছু নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট কর ব্যবস্থার আওতায় আসবে।
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট রয়েছে? পেয়ে যাবেন ২০ লক্ষ টাকার সুবিধা....
কোন অ্যাকাউন্টে কর বসবে?
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আয়কর বিধি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বিজ্ঞপ্তি মতো দু’টি ভাগে বিভক্ত হবে পিএফ অ্যাকাউন্ট। এর ফলে পিএফে কোনও কর্মীর নিজস্ব অবদান বছরে আড়াই লক্ষ টাকার সীমা ছাড়ালেই তাঁর অর্জিত সুদ করের আওতায় চলে আসবে। যে সমস্ত কর্মচারী পিএফে বছরে আড়াই লক্ষ টাকার বেশি অবদান রাখেন, তাঁদের প্রাপ্ত সুদের উপর কর চাপাতে আয়কর আইনের নতুন বিভাগ ৯ডি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সম্প্রতি শেষ হওয়া আর্থিক বছরে একজন ব্যক্তির করযোগ্য অবদানের সুদ গণনা করতেই এই নতুন নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বাম্পার খবর! শীঘ্রই আসছে যোজনার পরবর্তী কিস্তি, অবিলম্বে এই কাজ না করলে বড় ক্ষতি
নতুন নিয়ম একনজরে
১। রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্ট দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে, করযুক্ত অ্যাকাউন্ট ও করমুক্ত অ্যাকাউন্ট।
২। কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ড এই নিয়ম জারি করে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, একজন কর্মীর করযোগ্য অবদান এবং করযোগ্য নয়, এমন অবদানের হিসেব আলাদা ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে পৃথক দুই অ্যাকাউন্টে। পিএফ অ্যাকাউন্টের মধ্যে পৃথক অ্যাকাউন্টগুলি বজায় রাখা হবে।
৩। নতুন এই নিয়ম ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে চালু হবে।
৪। আয়কর আইনের নতুন বিভাগ ৯ডি অনুযায়ী, যে সমস্ত কর্মচারী পিএফে বছরে ২.৫ লাখ টাকার বেশি জমা হয়, তাঁদের প্রাপ্ত সুদের উপর কর বসবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন নিয়মে ছোট এবং মধ্যবিত্ত করদাতারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এটা প্রাথমিকভাবে উচ্চ আয়ের করদাতাদের উপর প্রভাব ফেলবে।