হাতে সুচ, সুতো নিয়ে বালাপোষ সেলাই করতে ব্যস্ত সম্পূর্ণ গ্রামের শতাধিক শিল্পী। শান্তিনগর গ্রামের বাসিন্দা মিতালি বিশ্বাস জানিয়েছেন, “কাপড়, তুল দিয়ে সেলাই করে আমরা বালাপোষ তৈরি করি। গ্রামের প্রায় ৭০০ থেকে ৭৫০ পরিবার এই কাজ করে। একটা বালাপোষ সেলাই করে আমরা ৯০ টাকা মজুরি পাই। ঝাড়খন্ড, বিহার সহ আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই জিনিস যায়।”শীতকালে লেপ, কাঁথা , কম্বল, ব্ল্যাঙ্কেটের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তবে একেবারে কমে যায়নি বালাপোষের চাহিদা। বর্ধমানের শান্তিনগর গ্রামে এখনও তৈরি হয় বালাপোষ।
advertisement
এখানকার বেশিরভাগ মহিলা যুক্ত রয়েছেন এই কাজের সঙ্গে। বালাপোষ তৈরি করেই তারা অর্থ উপার্জন করেন। স্থানীয়দের কথায়, এই বালাপোষের জন্যই হাল ফিরেছে গ্রামের। এখানকার বালাপোষের ভাল কদর রয়েছে। রাজ্য ছাড়িয়ে এখন ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেয়। বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যায় এই বালাপোষ। গ্রামের বাসিন্দা উন্নতি বিশ্বাস বলেন, “এই কাজ করে আমাদের মহিলাদের অনেক উপকার হয়েছে। সংসারের হাল ফিরেছে এই কাজের জন্য। আমি নিজে একটা টিভি কিনেছি, বাড়ি করার সময় বেশ কিছু টাকাও দিয়েছি। এছাড়া ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ এই কাজ করেই চালায়।”
আরও পড়ুন: সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে? ২৮ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ হারে GST লাগুর প্রস্তাব
গ্রামের মহিলারা সংসারের যাবতীয় কাজ সামলানোর পরে বেশিরভাগ সময় যুক্ত থাকেন বালাপোষ তৈরির কাজে। আর এইসময় শীতের মরশুম শুরু হতেই ব্যস্ততা আরও বেড়েছে।শান্তিনগর গ্রামের বহু বছরের পুরানো এই শিল্প। শীত এলেই চাহিদা বাড়ে শিল্পীদের। সম্পূর্ণ গ্রামের শতাধিক মানুষ যুক্ত রয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গে। গ্রামের পুরুষরাও মহিলাদের এই কাজে অনেক সাহায্য করেন। এই বালাপোষ শিল্পের জন্যই বর্তমানে জনপ্রিয় বর্ধমানের শান্তিনগর গ্রাম।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী