সম্প্রতি ডিজিটাল ফিনান্স কোম্পানি Paytm আইপিও-র মাধ্যমে শেয়ার বাজারে নিজেদের তালিকাভুক্ত করেছে। এই কোম্পানির আইপিও বাজারে খুবই খারাপ ফলাফল করে। তালিকাভুক্ত হওয়ার পরই শেয়ার মূল্য প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমে যায়। Paytm-এর প্রতিটি ইস্যুর দাম ছিল ২১৫০ টাকা, যদিও তালিকাভুক্ত হয়েছিল ১৯৫৫ টাকায়। সোমবার স্টক মার্কেটে ধস নামায় এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ১৩৫৯ টাকা ৬০ পয়সায় পৌঁছে যায় এবং স্টকের দাম সর্বনিম্ন ১২৭১ টাকা ছুঁয়ে যায়। অনেকেই Paytm-এর শেয়ার ক্রয় করে লোকসানের মুখোমুখি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন-দৈনিক মাত্র ২ টাকা জমা দিলেও পাওয়া যাবে ৩৬,০০০ টাকা সরকারি পেনশন, জানুন বিস্তারিত
দেশের বৃহত্তম ফিনটেক কোম্পানির Paytm-এর আইপিও বম্বে স্টক এক্সচেঞ্চ (BSE) এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্চ (NSE)-এ তালিকাভূক্ত হয়। কোম্পানির প্রত্যেক ইস্যুর দাম NSE-এর ক্ষেত্রে ১৯৫০ টাকা এবং BSE-এর ক্ষেত্রে ১৯৫৫ টাকায় বিক্রি হয়। BSE-তে ইস্যু প্রাইস ছিল ২১৫০ টাকা কিন্তু এই কোম্পানির শেয়ার ব্যবসা শুরু করে নির্ধারিত মূল্যের ৯ শতাংশ কম দিয়ে। অবশেষে শেয়ার মূল্য দাঁড়ায় ১৯৫৫ টাকা।
দেশের শেয়ার মার্কেটের ইতিহাসের বৃহত্তম আইপিও Paytm তাদের প্রতিটি স্টকের দাম ২০৮০ টাকা থেকে ২১৫০ টাকার প্রাইস ব্যান্ডে রাখা হয়। আইপিও-র মাধ্যমে কোম্পানির মোট মূল্য ১.৩৯ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ স্থির করা হয়। মোট ১৮,৩০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করার মাধ্যেম কোম্পানিটি এশিয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বৃহত্তম ফিনটেক আইপিও-তে পরিণত হয়। এর আগে কোল ইন্ডিয়া (Coal India) আইপিও হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৫,০০০ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার বিক্রি করেছিল। Paytm সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়।
২০২১ সালে Paytm IPO বিশ্বের দ্বিতীয় ব্রহত্তম এবং ভারতের বৃহত্তম আইপিও হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। স্পেনের অলফান্ডস (Allfunds) আইপিও-এর পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে Paytm IPO।
Paytm-এর স্টক মূল্যের দামের হ্রাস নিয়ে গত দিন ধরে Twitter সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় Paytm IPO নিয়ে মিমের বন্যা শুরু হয়। যা দেখে Paytm IPO অংশীদারদের মুখেও হাসি ফুটবে।