কী কী পাচ্ছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র?
দেশ জুড়ে তৈরি হবে ১৫৭টি নতুন নার্সিং কলেজ। অর্থাৎ ২০১৪ সাল থেকে তৈরি বিদ্যমান ১৫৭টি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে আরও ১৫৭টি নয়া নার্সিং কলেজ যোগ হতে চলেছে।
১০২ কোটি মানুষকে এখনও পর্যন্ত ২২০ কোটি কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যেই সিকল-সেল অ্যানিমিয়া রোগ দূর করার লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সদ্যোজাত থেকে ৪০ বছর বয়সী প্রায় ৭ কোটি মানুষের স্ক্রিনিং করা হবে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, এই রোগ দূর করতেই সরকার এই মিশন নিয়েছে।
advertisement
ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ বা ওষুধ প্রস্তুত সংক্রান্ত গবেষণার জন্য একটি নতুন প্রোগ্রাম আনা হবে। আর এই ক্ষেত্রে গবেষণার উপর আরও জোর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Union Budget 2023: একলাফে কমছে দাম স্মার্টফোন, টিভির! বাজেটে বড় চমক নির্মলার
সরকারি এবং বেসরকারি চিকিৎসা ক্ষেত্রের দ্বারাই নির্বাচিত আইসিএমআর ল্যাবগুলির সুবিধা গবেষণার জন্য উপলব্ধ করা হবে।
কৃষি, স্বাস্থ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে আন্তঃশৃঙ্খলা গবেষণা, অত্যাধুনিক অ্যাপ্লিকেশনের উন্নতি এবং পরিমাপযোগ্য সমস্যার সমাধান পরিচালনা করার জন্য বড় সংস্থাগুলি হাত মেলাবে।
আরও পড়ুন: অমৃতকালের বাজেট পেশ, ৭ লক্ষ পর্যন্ত কর ছাড়ের ঘোষণা
শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের তিনটি সেন্টার অফ এক্সলেন্স প্রতিষ্ঠা করা হবে।
গত বছর সরকারের তরফে প্রস্তাব আনা হয়েছিল যে, ২০২২-২৩-এ ৩৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা খরচ করা হবে। যা ২০২১-২২-এর সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে ২০২১-২২ সালের সমগ্র খরচের আনুমানিক হিসেব ছিল ৮.২ শতাংশ, যা বাজেটের আনুমানিক হিসেবের তুলনায় বেশিই ছিল। ২০২২ সালে সর্বোচ্চ বরাদ্দের নিরিখে শীর্ষে থাকা ১৩টি মন্ত্রকের মধ্যে ২০২২-২৩ বাজেটে সবথেকে বেশি শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল মিনিস্ট্রি অফ কমিউনিকেশনে। যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ। এর পরেই স্থান পেয়েছিল সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক (৫২ শতাংশ)। জলশক্তি মন্ত্রক (২৫ শতাংশ) ছিল তৃতীয় স্থানে। আবার এর মধ্যে ২০২২-২৩-এ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেখা গিয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। আবার ২০২২-২৩-এ স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা।
গত বছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছিলেন যে, আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনের অধীনে ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ ইকোসিস্টেমের জন্য একটি মুক্ত প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ন্যাশনাল টেলি মেন্টাল হেলথ প্রোগ্রাম প্রকাশ করা হয়েছে।