আইপিপিবি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ‘নামমাত্র চার্জে ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা মিলবে। গ্রাহক এখানে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, টাকা জমা বা টাকা তোলা, রিচার্জ করা, বিল পরিশোধ করা, জীবন বিমা বা সাধারণ বিমা কেনা ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন ঘরে বসে। বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাও মিলবে। শুধু তাই নয় অন্য ব্যাঙ্কে থাকা আধার লিঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিও অ্যাক্সেস করা যাবে’।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার স্টেটাসে এটা দেখাচ্ছে ? তাহলে শীঘ্রই অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে টাকা!
ভারতীয় পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কে বেসিক সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ডিজিটাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং রেগুলার সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রয়েছে।
বেসিক সেভিংস অ্যাকাউন্ট: এটি মূলত প্রাথমিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেয়। এতে প্রতি মাসে ৪ বার টাকা তোলা যায়। তবে এর বেশিবার টাকা তুলতে গেলেই প্রতি লেনদেনে ২৫ টাকা করে দিতে হবে। জিরো ব্যালেন্সেই অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা মিলবে। প্রতি মাসে ন্যূনতম নির্দিষ্ট কোনও ব্যালেন্স রাখা বাধ্যতামূলক নয়। গ্রাহক বেসিক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টকে চাইলেই লিঙ্ক করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এসবিআই-তে এফডি না কি পোস্ট অফিসে টার্ম ডিপোজিট? আপনি কোনটা বাছবেন?
ডিজিটাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট: পেমেন্ট ব্যাঙ্কের মোবাইল অ্যাপে এই ডিজিটাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। ১৮ বছর বয়সের ওপরে বৈধ আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড থাকলে যে কেউ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। অ্যাকাউন্ট খোলার ১২ মাসের মধ্যে কেওয়াইসি জমা না দিলে আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। তার জন্য ডিজিটাল আকাউন্ট খুলে যে কোনও অ্যাকসেস পয়েন্টে একবার অন্তত যাওয়া প্রয়োজন। এটিও জিরো ব্যালেন্সে খোলা যায়। বছরে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা রাখা যায় এই অ্যাকাউন্টে।
রেগুলার সেভিংস অ্যাকাউন্ট: আইপিপিবি-র যে কোনও অ্যাক্সেস পয়েন্টে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। এটি নিজের টাকার নিরাপত্তার জন্য, টাকা তোলার জন্য, জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় । এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তো আছেই। আইপিপিবি-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিশদে উল্লেখ রয়েছে সে সবের। এই অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার ব্যাপারে কোনো উর্ধ্বসীমা নেই। জিরো ব্যালেন্সেই এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। প্রতি মাসে ন্যূনতম নির্দিষ্ট কোনও টাকা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে লকার ভাড়া নেওয়া এখন আরও নিরাপদ, কী বলছে আরবিআইয়ের নয়া নিয়ম?
১৫৫২৯৯ নম্বরে ফোন করলেই ঘরে বসে ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহকরা।