১। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি: এই বাজেটে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানোর আশা করছেন বেতনভোগী শ্রেণী। করোনায় মানুষের চিকিৎসা খরচ বেড়েছে। তার ওপর রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। বিশেষ করে পেট্রোল ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দামে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির জীবনধারণ কঠিন হয়ে গিয়েছে। তাই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো দরকার। বার্ষিক ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তা ৭৫ হাজার টাকা করার আবেদন জানানো হয়েছে নির্মলার কাছে।
advertisement
২। স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি ছাড়: বর্তমানে স্বাস্থ্য বিমায় ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হয়। করোনা আবহে যা অনেকটাই বেশি। উচ্চ হারে জিএসটি-র জন্যই সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য বিমা এড়িয়ে চলেন। চলতি বাজেটে এই হার ১৮ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা করতে পারেন নির্মলা।
৩। শক্তিশালী অর্থনীতি গড়তে হবে: এদিকে আশু নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, গত দু'বছরে করোনা মোকাবিলাতেই অধিকাংশ টাকা ব্যয় করেছে কেন্দ্র। এর প্রভাব পড়েছে সরকারি কোষাগারে। অন্য দিকে কর আদায়েও ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি ভালোর দিকে। এই পরিস্থিতিতে আর্থিক পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।
৪। সম্পদ এবং উত্তরাধিকার কর: অর্থনীতিবিদরা সম্পদ এবং উত্তরাধিকার কর আরোপের পক্ষে। তাঁদের মতে, এটাই সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করবে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষ। ধনী এবং গরিবের আয়ের ব্যবধান দৃষ্টিকটু ভাবে বেড়েছে। সম্পদ এবং উত্তরাধিকার কর আরোপের মাধ্যমে এই ব্যবধান কিছুটা হলেও কম করা যেতে পারে।
৫। বাড়ি থেকে কাজে কর ছাড়: ২০২০ থেকে করোনা মহামারী শুরু হয়েছে। তারপর থেকেই চলছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। বিশেষ করে বেসরকারি ক্ষেত্রের কোটি কোটি মানুষ বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। ফলে ইন্টারনেট, আসবাব, বিদ্যুৎ, ইলেকট্রিক ইত্যাদিতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে কর্মীকে। তাই যারা বাড়ি থেকে কাজ করছেন বাজেটে তাঁদের জন্য পৃথক ছাড় ঘোষণা করা হতে পারে।
৬। বৈদ্যুতিন যানবাহনে ছাড়: পেট্রোল, ডিজেলের উপর নির্ভরতা কমাতে বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে চায় সরকার। এতে পেট্রোলিয়াম আমদানির উপরেও নির্ভরতা কমবে। এ জন্য সস্তা হারে ঋণের ব্যবস্থা করলে বৈদ্যুতিন গাড়ি কিনতে উৎসাহিত হবে সাধারণ মানুষও। এছাড়া বৈদ্যুতিন গাড়ি সংক্রান্ত গবেষণা এবং উন্নয়ন খাতে সরকারের আরও তহবিল বরাদ্দ করা উচিত বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
আরও পড়ুন-Tecno ভারতে লঞ্চ করতে চলেছে তাদের নতুন স্মার্টফোন Tecno POP 5 Pro, দেখে নিন এক ঝলকে!
৭। মনরেগায় বরাদ্দ বৃদ্ধি: ২০২০ সালে লকডাউন শুরু হয়। তখন বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক শহর থেকে গ্রামে ফিরে এসেছিলেন। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই এখনও গ্রামেই থাকছেন। এঁদের আয়ের বড় উৎস হল মনরেগা। তাঁদের জন্য ১০০ দিনের কাজ নিশ্চিত করতে হবে। এই খাতে তাই বড়সড় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজন।
৮। এসটিটি হ্রাস: স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোনও শেয়ার কিনলে নিরাপত্তা লেনদেন কর বা সিকিউরিটি ট্র্যানজাকশান ট্যাক্স (এসটিটি) দিতে হয়। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে বাজার ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য খুব একটা লাভজনক না হওয়ায়, আপাতত এই করে ছাড় বা সম্পূর্ণরূপে তুলে দেওয়াই শ্রেয় বলে দাবি জানিয়েছেন দালাল স্ট্রিটের কর্মচারীরা।
৯। অপ্রচলিত শক্তিতে জোর: কয়লা, পেট্রোল, ডিজেলের ব্যবহার কমাতে হবে। বদলে অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। জোর দিতে হবে সৌর বিদ্যুৎ, হাইড্রোজেন, বায়োফুয়েলে। এ ক্ষেত্রে উৎসাহ বাড়াতে ভর্তুকি দিতে পারে সরকার। গবেষণা এবং প্রচার খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো জরুরী।
১০। স্টার্ট আপের জন্য আকর্ষণীয় নীতি: আজকের তরুণ-তরুণীরা নতুন কিছু করতে চান। চাকরি খোঁজার পরিবর্তে অন্যকে চাকরির সুযোগ করে দিতে চান তাঁরা। তাই ভারতে ডানা মেলছে স্টার্ট আপ। আগামীদিনে এগুলিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং উৎসাহ দিতে স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলির জন্য আকর্ষণীয় নীতি ঘোষণা করতে পারে সরকার।