এই সময়ে শুরু হয় সুপারি পাড়ার কাজ। সুপরিপক্ব ফল সংগ্রহ করে শুরু হয় খোসা ছাড়ানোর প্রক্রিয়া, স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় “সিজার” করা। গ্রামের অসংখ্য মানুষ এই সময় জড়িয়ে পড়েন সুপারির কাজে। এটি শুধু একটি কৃষিজ পণ্য নয়, বহু মানুষের জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক গুরুত্বপূর্ণ ফসল।
আরও পড়ুন: বাড়িতে রাখা সোনা বিক্রি করলে কত ট্যাক্স দিতে হবে ? জেনে নিন নিয়ম
advertisement
মূলত এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সুপারি কিনে নেন। এরপর তা প্রক্রিয়াজাত করে কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হয়। তামাকজাত দ্রব্য তৈরির কাঁচামাল হিসেবে এই সুপারির চাহিদা যথেষ্ট বেশি। সুপারি বেচাকেনা ঘিরে তৈরি হয় ছোটখাটো হাট। কৃষকদের পাশাপাশি লাভের মুখ দেখেন এলাকার ব্যবসায়ীরাও।
আরও পড়ুন: পিএম কিষান যোজনার টাকা কি বাড়বে ? কী জানাল সরকার ?
অনেকেই বছরের এই সময়টাতেই কিছু অতিরিক্ত আয়ের মুখ দেখেন। বসিরহাট মহকুমার বহু পরিবার এই মরসুমি সুপারির উপার্জনের ওপর নির্ভর করেই পুজোর বাজার সাজিয়ে তোলেন। পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই চাষ ও ব্যবসা যেমন এলাকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে, তেমনি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও তৈরি করছে নতুন দিগন্ত।
জুলফিকার মোল্যা: