জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেই মূলত লাল কলা উৎপাদন হয়। তবে দেশের মধ্যে তামিলনাড়ুতে বেশ কিছু বছর ধরে লাল কলা চাষ শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় লাল কলা চাষ হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের কৃষক অবেন দেবশর্মা পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রথম লাল কলার চাষ শুরু করেন। আপনাকে ভাল জাতের লাল কলার চারা আনতে হবে। এই লাল কলার অন্যতম জাত অগ্নিশ্বর বা অগ্নিসাগর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রিয় পোষ্য কুকুর কতদিন বাঁচতে পারে? নাক দেখেই মিলবে হিসেব! আপনিও জেনে নিন
এই লাল কলা চাষের জন্য পর্যাপ্ত রোদ যুক্ত ও জল নিকাশির সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি এই কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। এই কলা চাষের জন্য দোঁয়াশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত। কৃষক জানান, লাল কলা চাষের জন্য প্রথমে ভালভাবে জমি চাষ করে তারপর এই কলার চারা রোপন করতে হবে। এই কলার চারা আশ্বিন থেকে কার্তিক কিংবা মাঘ থেকে ফাল্গুন অথবা চৈত্র থেকে বৈশাখ এই তিন মরশুমে লাগাতে পারেন। এই লাল কলার চারা লাগানোর সময় সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২ মিটার হতে হবে।
লাল কলা চাষের সময় খেয়াল রাখতে হবে চারা রোপণের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে তখনই সেচ দেওয়া উচিত। অবেন জানান, এই লাল কলার চারা রোপণের ১৪ মাস পর জমিতে ফলন হয়। এই লাল কলার চাষের ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক ধনঞ্জয় মণ্ডল জানান, বহু চাষী বর্তমানে নিজেদের উদ্যোগে এই লাল কলা চাষ করছে। তবে ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই লালকলা চাষের আগ্রহ বাড়ানো হবে চাষীদের, সেদিকেই চেষ্টা করা হবে। তবে আপনি চাইলে খুব সহজেই বাড়ির আশেপাশের জমিতে বা উঠোনে বিশেষ কিছু পদ্ধতি মেনে লাল কলার চাষ করতে পারেন।
পিয়া গুপ্তা