আরও পড়ুনঃ হাওড়ার বেআইনি জ্বালানি তেলের গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, মৃত ১! ঘটনাস্থলে দমকলের ৪ ইঞ্জিন
মাউন্ট প্লাইবোর্ড, ক্লে দিয়ে তৈরি করছেন সুন্দর সুন্দর শোপিস। কোনওটি বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি, কোনওটি আবার প্রাকৃতিক দৃশ্য, শিল্প নিপুণতায় সাজিয়ে তুলছেন বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারযোগ্য জিনিস। আর এতেই যেন মন মজেছে সকলের। সংসার এবং বেসরকারি এক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পর অবসর সময়ে বাড়িতে ক্লে সহ একাধিক জিনিস দিয়ে নানান ধরনের শোপিস আইটেম ও গয়না বানিয়ে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন তিনি। বাড়িতে অন্যান্য কাজের অবসরে তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডমেড গয়না। দাম রয়েছে গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে বিক্রি করে মাসে বেশ আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন এই গৃহবধূ। নিজের স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি অন্যদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনা।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা নীলিমা ধাওয়া দাস। তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর বাড়িতে অন্যান্য কাজের অবসরে তিনি বিভিন্ন সৌখিন জিনিস তৈরি করে বিক্রি করছেন। ছোট থেকে অঙ্কন ও বিভিন্ন ধরনের ক্রাফট আইটেম তৈরির নেশা তার। সেই নেশাকে ধীরে ধীরে ব্যবসাতে পরিণত করেছেন তিনি। ক্লে, রং দিয়ে বিভিন্ন সৌখিন জিনিস যেমন তৈরি করছেন তেমনই গ্রাহকদের পছন্দমত নিত্যনতুন ডিজাইনের জুয়েলারিও বানিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিটি জিনিসের দাম রয়েছে ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকার মধ্যে। অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমে বিক্রি করছেন সেগুলো। সারা বছর এই জিনিস বিক্রি করে মাসিক বেশ ভাল আয় জুটছে তাঁর।
স্বল্প কাঁচামাল, সামান্য কয়েক টাকার জিনিস দিয়েই তিনি তৈরি করছেন বিভিন্ন ধরনের ওয়াল হ্যাংগিং, ক্লে জুয়েলারি। মাটির থালা কিংবা বিভিন্ন কাপড়ের ব্যাগের উপর নানা ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন তিনি।স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন কাজের অবসরে একাধিক জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন এই গৃহবধূ। তার সৌখিনতা, হাতের নিপুনতা এবং স্বনির্ভর হওয়ার ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।





