প্রতিদিন সকাল থেকেই গ্রামের মানুষ ঝাঁপি হাতে নেমে পড়েন জলাজমিতে শালুক ফুল তুলতে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ফুল সংগ্রহ করা যায়। এরপর সেগুলো রোদে শুকিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়। শুকনো শালুক ফুল স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যান।
advertisement
গ্রামবাসীর কথায়, “আগে এই জলাজমি শুধু নষ্ট ঘাসে ভরত, এখন এই শালুক ফুলই আমাদের আয়ের ভরসা।” বর্তমানে এই ফুল বিক্রি করে অনেক পরিবারই সংসারের খরচ চালাতে পারছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। শুধু তাই নয়, এই ফুল তুলতে বিশেষ পরিশ্রমেরও প্রয়োজন হয় না, ফলে মহিলা ও বয়স্করাও সমানভাবে এই কাজে যুক্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: রামধনুর রঙের সুমিষ্ট এই আখ! দাঁত দিয়ে ছুলতে হবে না, হাতেই খুলে যায় খোসা! কোথায় পাবেন?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুকনো শালুক ফুল ব্যবসায়ীরা শহরে পাঠান, যেখানে তা থেকে তৈরি হয় বিভিন্ন ঔষধি সামগ্রী। ফলে এই ফুল শুধু গ্রামের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করছে না, বরং শিল্পক্ষেত্রেও রাখছে অবদান। অনেক উদ্যোক্তা এখন এই ফুলের চাষ ও সংগ্রহকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করছেন। গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন প্রাণসঞ্চার করেছে এই শালুক ফুল। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া এই ফুল এখন হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জীবিকার অন্যতম অবলম্বন। গ্রামের তরুণ প্রজন্মও এখন এই ফুলের সম্ভাবনাকে ঘিরে নতুন ভাবনায় এগিয়ে আসছে, যা ভবিষ্যতে গ্রামীণ উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারে।





