দীর্ঘ সময় ধরে পাট চাষ করা এক চাষি মহম্মদ সইদুল হক জানান, “একটা সময় তাঁর বাবা পাট চাষ করতেন। বর্তমান সময় তিনি এই চাষ করেন দীর্ঘ সময় ধরে। এই চাষের ক্ষেত্রে জমিতে জল সেচ দিতে হয় মাত্র দু’বার। চাষের শুরুর দিকে একবার দিতে হয়, আরেকবার দিতে হয় শেষের দিকে। এছাড়া মরসুমে যে বৃষ্টিপাত হয় তাতেই কাজ হয়। তবে জমিতে বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করা যায় না। বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করলে পাটের ছাল পাতলা হয়ে যায়। জমিতে সার প্রয়োগ করতে হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ।”
advertisement
চাষি মহম্মদ সইদুল হক আরোও জানান, “তিতা পাট চাষে লাভ আসবে অনেকটা বেশি। তবে এক বিঘা জমিতে এই চাষ করতে খরচ হয় আনুমানিক ১৫০০০ টাকার মতন। তবে লাভ আসে দ্বিগুণের বেশি। তাই এই মরসুমে জেলার কৃষকেরা পাট চাষ করে বেশি লাভবান হতে পারবেন সহজে।” কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তি অমল রায় জানান, “মিষ্টি পাট মূলত খাবারের জন্য চাষ করা হয়। আর তিতা পাট চাষ করা হয় সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। আর এই তিতা পাট চাষ করা অনেকটাই লাভজনক। জেলায় বর্তমানে এই চাষ বাড়ছে।”
আরও পড়ুন: ভারত-পাক সংঘর্ষের স্মৃতি আজও রয়েছে এই জেলায়! দেখতে ছুটে আসে বহু মানুষ
বর্তমান সময়ে যে সমস্ত কৃষকেরা অধিক লাভের আশায় চাষাবাদ করতে চাইছেন। তাঁদের অবশ্যই উচিত তিতা পাট চাষের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ লাভের মুখ দেখা। তবে চাষের আগে অবশ্যই কৃষি দফতরের কৃষি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করা ভাল। এতে অনেকটা সুবিধা পাবেন চাষিরা।
Sarthak Pandit





