এর পাশাপাশি সুন্দরবনের এলাকার প্রতি বছরই নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক সময়ে নদীবাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয়ে যায় গোটা গ্রাম। চাষের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর সেই কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের চাষিরা অল্প জমিতে সামান্য খরচ করে অধিক ফলন ফলিয়ে আয়ের দিশা দেখছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সমস্ত চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি সুদ ! মিলবে বাম্পার রিটার্ন
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা-সহ ভাঙড়, গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলীপ্রভৃতি এলাকায় এই চাষের চাহিদা বেড়েছে। বাড়তি ফল লাভের আশায় চাষিরা অন্য আনাজের পাশাপাশি বুলেট লঙ্কা চাষ করছে। এই কারণে অন্যান্য লঙ্কার বাজারদর তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই চাষেই লাভ দেখতে পারছেন কৃষকরা। তবে এই লঙ্কা শুধুমাত্র এই রাজ্যেই নয়, অন্যান্য জায়গাতেও রফতানি হচ্ছে।
ফলন যেমনই হোক, বাজারদরের উপর নির্ভর করে চাষিদের ভবিষ্যৎ। আর এইখানেই মুনাফা লুটে নিচ্ছেন চাষিরা। বর্তমানে বুলেট লঙ্কার বাজারদর খুব চড়া। অন্য জাতের লঙ্কার পাইকারি বাজারে দাম, বুলেট লঙ্কার থেকে প্রায় তিনভাগের একভাগ। তাই এই চাষ চাষিদের স্বস্তি ।
শুধু তাই নয় বুলেট লঙ্কা চাষের কিছু প্রধান প্রধান সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, অন্যান্য লঙ্কার থেকে এই লঙ্কার ফলন বেশি। ফলে অল্প জমিতে চাষ করে অনেক পরিমাণে ফসল পান চাষিরা। এছাড়াও, অন্য জাতের লঙ্কা ফলতে যেখানে আড়াই থেকে তিন মাস সময় লাগে, সেখানে বুলেট লঙ্কা গাছে দুই মাসেই ফল আসে। আর বাজারে কাঁচালঙ্কার এই চাহিদার পূরণ ঘটাচ্ছে সুন্দরবনের চাষিরা। বিশাল পরিমাণে বুলেট লঙ্কা চাষ করে বাজারে জোগান দিচ্ছে তারা।
সুমন সাহা