পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের ডিমডিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুল গ্রাম। সেই গ্রামেরই এক কৃষক দিলীপ কুম্ভকার। নিজের দু-বিঘা জমিতে প্রথমবার তিনি জবা ফুল চাষ করেছেন। জমিতে লাগিয়েছেন ২০০-টি জবা গাছ। কৃষি দফতরের আতমা প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে এই চাষ করেছেন তিনি।
advertisement
এ বিষয়ে কৃষক দিলীপ কুম্ভকার বলেন, প্রথমবার তিনি জবা ফুল চাষ করেছেন। এই চাষ যথেষ্ট লাভজনক। কালীপুজোর আগে ভাল দরে তার ফুল বিক্রি হচ্ছে। এতে তিনি আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছেন। জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সমস্ত দিক থেকেই সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামীদিনে তিনি আরও ব্যাপক হারে জবা ফুল চাষ করবেন বলে পরিকল্পনা নিচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ বিষয়ে পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা তন্ময় সাহা বলেন, জবাফুল বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। অল্প পরিশ্রমে, স্বল্প খরচে এই ফুল চাষ করে ব্যাপক লাভ করতে পারেন চাষিরা। ফুলের চাহিদা পুরুলিয়া জেলাতে ভীষণভাবেই রয়েছে। তাই যদি ফুল চাষের উপর চাষিরা আগ্রহী হয় তাহলে আগামী দিনে বিকল্প চাষ হিসাবে জেলায় ফুল চাষ লাভজনক চাষ হিসাবে প্রমাণিত হবে। বিশেষ করে পতিত জমিগুলিতে অনায়াসেই চাষিরা এই সমস্ত ফুল চাষ করতে পারেন। কালীপুজোর এই মরশুমে জবাফুল চাষ করে লক্ষ্মী লাভ করতে পারছেন পুরুলিয়া এক নম্বর ব্লকের কৃষকরা। এক টাকা থেকে দেড় টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে এক একটি জবা ফুল। ফুল চাষের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের বিকল্প রোজগারের পথ প্রশস্ত করছে কৃষি বিভাগ।