তবে অনেকে ভাবেন কচুরিপানা জলাশয়ের এক এমন জিনিস যার কোনও কাজ নেই। তবে আপনার মনের মধ্যে এ ধারণা থাকলে সেটি একদমই ভুল।এই কচুরিপানা থেকেই লক্ষ্মীলাভ করছে বীরভূম।কচুরিপানার তত্ত্ব দিয়ে তৈরি বাড়ির ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিস এবার সাঁইথিয়া থেকে সারা দেশে পৌঁছে যাচ্ছে। সাঁইথিয়ার ভগবতীপুর গ্রামে সে জন্য তৈরি হচ্ছে ‘কমন প্রোডাকশন সেন্টার’। রাজ্য ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্তু বিভাগের উদ্যোগে ভগবতী পুরে তৈরি হচ্ছে সরকারি ভবন। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত আহমদপুর এলাকায় গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন এই বাড়ি। যেখানে প্রায় একাধিক মহিলারা স্বনির্ভর হচ্ছেন কচুরিপানা থেকে বিভিন্ন বাড়ির সামগ্রী তৈরি করে।
advertisement
আরও পড়ুন: একই দিনে দু’বার দাম বৃদ্ধি, আজ ২২ ক্যারেটের দাম জানলে চমকে যাবেন !
জেলা শিল্প কেন্দ্রের সূত্রের খবর, ‘জমি চিহ্নিতকরণ হয়ে গিয়েছে।দফতর এর জন্য ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০২১ সালে কচুরিপানা থেকে তত্ত্ব বের করে নিত্য দিনের ব্যবহৃত সামগ্রী তৈরি করতে শুরু করে জেলা শিল্প কেন্দ্রের অধীনে থাকা মহিলারা। যা দিয়ে ফাইল রেক, ট্রে, ডাইরি-সহ নানা জিনিস তৈরি হয়। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন এর আগেও তন্তু দিয়ে তৈরি ক্লাস্টার পূর্বস্থলী ও কলকাতার কাছে একটি কেন্দ্রে পরিকাঠামো করে দিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: এই টিপসগুলি মেনে চললেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট সস্তা দামে কিনতে পারবেন !
এবার আনন্দ দ্বিগুন, কারণ নিজের জেলার প্রায় আনুমানিক ৩৫০-৪০০ মহিলা সরাসরি এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হবেন।পরোক্ষভাবে কাজে যোগ দেবে আরও ৪০০-৫০০ মহিলা।সব মিলিয়ে এই কাজ করে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা। আর্থিক উপার্জন করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারছেন তারা। আর কার্যত তাতেই খুশির হাওয়া প্রত্যন্ত গ্রামের এই সমস্ত মহিলাদের।
সৌভিক রায়