এই টিপসগুলি মেনে চললেই বাড়ি বা ফ্ল্যাট সস্তা দামে কিনতে পারবেন !

নিজের একটা বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট হোক, এই স্বপ্ন তো প্রায় সকলের থাকে। কিন্তু সাধ থাকলেই সব সময় সাধ্যে কুলোয় না। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে তো বটেই! আসলে বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কিনতে হলে অথবা জমি কিনে একটা বাড়ি করতে গেলে হিমশিম খেয়ে যান একজন মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী। কারণ ফ্ল্যাট কিনতে হলে অথবা বাড়ি করতে গেলে তো প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। যা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে থাকে। তবে নিজদের সেই সাধ পূরণ করার অবশ্য একটাই উপায় রয়েছে। সেটা হল - ইএমআই বা মাসিক কিস্তি।

এভাবেই বাড়ি কেনা বা তৈরি করার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন তাঁরা। তবে মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীদের চাকরি জীবনের বেশিরভাগ অংশটাই কেটে যায় সেই ইএমআই মেটাতে মেটাতে। তবে সস্তা বা কম টাকাতেও বাড়ি কেনা কিংবা ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব! আসলে অনেক সময় বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ভাল পরিমাণ ডিসকাউন্ট দেন সেলার বা ডেভেলপাররা। যার জেরে বাড়ি বা ফ্ল্যাটের দাম অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু সস্তায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট পাওয়ার উপায়গুলি ঠিক কী কী, সেই বিষয়েই আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করে নেওয়া যাক।

সস্তায় বাড়ি কেনার জন্য রইল জরুরি কিছু টিপস:
১. যদি ডেভেলপার কিংবা সেলারদের কাছ থেকে সরাসরি বাড়ি কেনা হয়, তাহলে অনেকটা সস্তায় বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব। কারণ সরাসরি তাঁদের কাছ থেকে কিনলে এজেন্ট কিংবা দালালদের কমিশন দেওয়ার ঝঞ্ঝাট থাকে না। ফলে অনেকটাই সস্তা হয়।

২. পেমেন্টের বেশিরভাগটাই যদি গ্রাহক নগদে পরিশোধ করেন, তাহলে তিনি দামের উপর আরও বেশি ডিসকাউন্ট পেয়ে যেতে পারবেন।
৩. যদি ২-৪ জন গ্রাহক একই প্রজেক্টে একসঙ্গে বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কেনেন, তাহলে সেক্ষেত্রে ডেভেলপার তাঁদের অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট বা ছাড় দিয়ে থাকেন।

৪. যে কোনও সম্পত্তি কিংবা জমি-বাড়ি কেনার আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঘুরে এলকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওই এলাকায় জমি-বাড়ির দাম কেমন যাচ্ছে, সেটার বিষয়ে খোঁজখবর করতে হবে। আসলে দামটা বুঝে নিলে সেলার কিংবা ডেভেলপারের সঙ্গে দর কষাকষি করা যেতে পারে।

৫. নির্মীয়মাণ বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটের তুলনায় পুরোপুরি তৈরি বাড়ি বা রেডি-টু-মুভ বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট হলে তার দাম বেশি হয়। এমনকী নির্মীয়মাণ বাড়ি অনেকটাই ডিসকাউন্টে পেয়ে যেতে পারেন গ্রাহক।