নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর পঞ্চায়েতের গুঁড়ি, অলঙ্কারপুর সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবারের এটাই জীবিকা। ঝাঁটা বানিয়েই তারা জীবিকা অর্জন করছেন। এটাই তাদের একমাত্র ব্যবসা। বংশ পরম্পরায় এই ঝাঁটা বানিয়ে তারা রোজগার করছেন। প্রসঙ্গত কেউ ২০-২৫ বছর ধরে আবার কেউ ৪০-৫০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। কারওর আবার বংশপরম্পরায় এই জীবিকা। বাড়িতে সকাল থেকে লেগে পড়া এই কাজে।
advertisement
আরও পড়ুন: আকাশছোঁয়া দামের মাঝেও সোনায় আলাদা চমক দিচ্ছে বাংলার ‘এই’ জায়গা! পুরোটা জানলে গর্বে বুক ভরবে
জানা যাচ্ছে, নারকেল ঝাঁটা তৈরির কাঁচামাল আসছে পূর্ব মেদিনীপুরের মোহাড়, তমলুক ও কাঁথি থেকে। কাঁচামাল বলতে শুধু নারকেল গাছের কাঠি। এখানে কাঠিগুলি বাছাই করে বাঁধাই করা হয়। এই কাজই মূলত করেন পরিবারগুলি। সেই বাঁধাই ঝাঁটা চলে যাচ্ছে এ রাজ্যের একাধিক বাজারে। যাচ্ছে রাজ্যের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিহার, ছত্তিশগড় রাজ্যেও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবারগুলি জানাচ্ছে, এই জীবিকাই তাদের স্বনির্ভর করেছে। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যে এই ঝাঁটার চাহিদা বেশি। গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে এই ঝাঁটা ব্যবহার করেন মানুষ। যার থেকে প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়। জানা যায়, প্রথমে প্রায় চারটি ভাগে ভাগ করে ঝাঁটার কাঠি বাছাই করা হয়। ছোট থেকে বড় চার ধরনের ঝাঁটা তৈরি হয়। যার দামও ভিন্ন। সর্বনিম্ন ১০ ও সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় একটি ঝাঁটা বিক্রি হয়। প্রতিদিন একজন শ্রমিক ৩০০টি ঝাঁটা তৈরি করতে পারেন। এক একটি ব্যবসায়ী পরিবার থেকে দেড় হাজার ঝাঁটা বাঁধায় হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের আর্থিক রুটিরুজির অন্যতম মাধ্যম এই ঝাঁটা তৈরি। যা বংশ পরম্পরায় বাঁচিয়ে রেখেছে পরবর্তী প্রজন্ম।





