TRENDING:

Money Making Idea: নারকেল গাছের অপ্রয়োজনীয় অংশকে কাজে লাগিয়েই বিরাট ব্যবসা! রোজ রোজ অঢেল টাকা রোজগার করছেন মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীরা

Last Updated:

স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের আর্থিক রুটিরুজির অন্যতম মাধ্যম নারকেল গাছের অপ্রয়োজনীয়, ঝরে পড়া অংশ। এমন ব্যবসা ট্রাই করে দেখতে পারেন আপনিও

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নারায়ণগড়, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: সকাল থেকে বাড়িতে বাড়িতে ব্যস্ততা। কোনও যন্ত্রপাতি ছাড়াই সামান্য প্লাস্টিকের দড়ি, আর কিছু নারকেল পাতার পিচ নিয়ে চলছে কাজ। আর এতেই নাকি বেশ কয়েক হাজার টাকা রোজগার হচ্ছে প্রতি মাসে। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় নারকেল ঝাঁটা বানিয়েই চলছে উপার্জন। এটাই জীবিকা এলাকার কয়েকটি পরিবারের। শুধু তাই নয় এই পরিবারগুলোর সঙ্গে যুক্ত আরও একাধিক পরিবার। যাদের ভরণপোষণ হচ্ছে শুধুমাত্র এই নারকেল ঝাঁটা বানিয়ে। শ্রমিকের কাজ করে তারাও প্রতি মাসে রোজগার করছেন। প্লাস্টিক ঝাঁটার সময়েও নারকেল ঝাঁটার কদর কমেনি, বরং বেড়েছে। রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছে সেই ঝাঁটা। আর এর থেকে প্রতিমাসে রোজগার হচ্ছে তাদের। সামান্য কাঁচামাল এবং কোনও যন্ত্র ছাড়াই রোজগার হচ্ছে এই ঝাঁটা বানিয়ে।
advertisement

নারায়ণগড় ব্লকের মকরামপুর পঞ্চায়েতের গুঁড়ি, অলঙ্কারপুর সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবারের এটাই জীবিকা। ঝাঁটা বানিয়েই তারা জীবিকা অর্জন করছেন। এটাই তাদের একমাত্র ব্যবসা। বংশ পরম্পরায় এই ঝাঁটা বানিয়ে তারা রোজগার করছেন। প্রসঙ্গত কেউ ২০-২৫ বছর ধরে আবার কেউ ৪০-৫০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন। কারওর আবার বংশপরম্পরায় এই জীবিকা। বাড়িতে সকাল থেকে লেগে পড়া এই কাজে।

advertisement

আরও পড়ুন: আকাশছোঁয়া দামের মাঝেও সোনায় আলাদা চমক দিচ্ছে বাংলার ‘এই’ জায়গা! পুরোটা জানলে গর্বে বুক ভরবে

View More

জানা যাচ্ছে, নারকেল ঝাঁটা তৈরির কাঁচামাল আসছে পূর্ব মেদিনীপুরের মোহাড়, তমলুক ও কাঁথি থেকে। কাঁচামাল বলতে শুধু নারকেল গাছের কাঠি। এখানে কাঠিগুলি বাছাই করে বাঁধাই করা হয়। এই কাজই মূলত করেন পরিবারগুলি। সেই বাঁধাই ঝাঁটা চলে যাচ্ছে এ রাজ্যের একাধিক বাজারে। যাচ্ছে রাজ্যের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিহার, ছত্তিশগড় রাজ্যেও।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
চোখের পলকে গায়েব সব টাকা? অনলাইনে জিনিস বুকিং করার আগে সাবধান, জানুন এই সিক্রেট নিয়ম
আরও দেখুন

পরিবারগুলি জানাচ্ছে, এই জীবিকাই তাদের স্বনির্ভর করেছে। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যে এই ঝাঁটার চাহিদা বেশি। গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজে এই ঝাঁটা ব্যবহার করেন মানুষ। যার থেকে প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়। জানা যায়, প্রথমে প্রায় চারটি ভাগে ভাগ করে ঝাঁটার কাঠি বাছাই করা হয়। ছোট থেকে বড় চার ধরনের ঝাঁটা তৈরি হয়। যার দামও ভিন্ন। সর্বনিম্ন ১০ ও সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় একটি ঝাঁটা বিক্রি হয়। প্রতিদিন একজন শ্রমিক ৩০০টি ঝাঁটা তৈরি করতে পারেন। এক একটি ব্যবসায়ী পরিবার থেকে দেড় হাজার ঝাঁটা বাঁধায় হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের আর্থিক রুটিরুজির অন্যতম মাধ্যম এই ঝাঁটা তৈরি। যা বংশ পরম্পরায় বাঁচিয়ে রেখেছে পরবর্তী প্রজন্ম।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Money Making Idea: নারকেল গাছের অপ্রয়োজনীয় অংশকে কাজে লাগিয়েই বিরাট ব্যবসা! রোজ রোজ অঢেল টাকা রোজগার করছেন মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল