এক গ্রাহক অভিযোগ জানান গত ২০ তারিখে তার একাউন্টে ২০০০ টাকা ঢোকে সেই মতো তুলতেও আসেন কিন্তু অভিযুক্ত ওই কিঅক্স অপারেটর তাকে বলে হাজার টাকা ঢুকেছে এরপর তিনি ১০০০ টাকা তুলে নিয়ে বাড়ি যান কিন্তু পরবর্তীকালে অ্যাকাউন্ট চেক করে দেখেন দুই হাজার টাকা যেমন ঢুকেছে তেমন ওই ২০ তারিখেই ২০০০ টাকা তোলা হয়েছে অথচ তার হাতে দেওয়া হয়েছিল সেদিন এক হাজার টাকা মাত্র। বাকি টাকা কোথায়!
advertisement
আরও পড়ুন: সাবধান! বাজারে কিন্তু ঢুকে পড়েছে ৫০০ টাকার জাল নোট, বুঝে নিন আসল-নকল চেনার উপায়
অন্য এক অভিযোগকারীর দাবি তার মা এই সেন্টারের গ্রাহক আজ থেকে প্রায় একমাস আগে ২০০০ টাকা তোলেন অথচ বাড়িতে তার ছেলের মোবাইলে মেসেজ যায় তিন হাজার টাকার যদিও সে সময় সন্ধ্যা হয়ে যাবার কারণে সেদিন আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি তবে পরের দিন বলার পর একপ্রকার অভিযোগের কথা জানানোর পর সে বাকি ১০০০ টাকা ফেরত দেয় তবে এদিনের এই ঘটনায় এই অভিযোগকারীর মনে হয়েছে অনেকেই পড়াশোনা জানেন না কিংবা নিজের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সচেতন নন তাই জনরোষ তৈরি হচ্ছে না, তবে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সময় কত ছিল ভারতীয় ১ টাকার মূল্য? শুনলে একেবারে চমকে উঠবেন
তবে বেশিরভাগ গ্রাহকদের অভিযোগ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাওয়া গ্রাহকের সংখ্যা খুব কম কিন্তু অসচেতন ভাবেই হোক কিংবা আইনি জটিলতার সমস্যা এড়াতে অনেকেই প্রকাশ্যে বলছেন না তবে এরকম ঘটনা শুধু একটি নয় প্রতিদিন নিয়মিত হয়ে থাকে নিত্য অহরহ। যদিও অভিযুক্ত কিঅক্স মালিক এবং অপারেটর অবশ্য তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি বলেন, লিঙ্ক না থাকার কারণে প্রথম ঘটনাটি হয়েছিল তবে সঙ্গে সঙ্গে সে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে আর দ্বিতীয় অভিযোগ যাতে স্পষ্ট ওনার ২০০০ টাকা সই করে তুলেছেন কিন্তু এখন উনি বলছেন এই সই ওনার নয়। তবে অভিযোগকারীনি ওই বৃদ্ধার পরিচিত ব্যক্তিরা দাবি তোলেন সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখার জন্য সে ক্ষেত্রেও নাকি অভিযুক্ত ওই অপারেটর জানিয়েছেন সিসি ক্যামেরায় খুব বেশি থাকে না আর এখানেই গ্রাহকরা প্রশ্ন তুলেছেন মাত্র ১০ দিনের স্টোরেজ যদি না থাকে তাহলে সেই কিভাবে অনুমোদন পায় কারণ তারা জেনেছেন ন্যূনতম একমাসের তথ্য রাখা উচিত।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা জমা এবং তোলার পরে অবশ্যই তার রশিদ এবং পাশাপাশি পাসবুক আপডেট করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
Mainak Debnath