আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারের এখন যা অবস্থা তাতে কি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত?
বিশ্বের আর কোনও দেশে কিন্তু জীবন বিমার অবস্থা এমনটা নয়। প্রথম বিশ্বের দেশগুলোতে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে জীবন বিমাকে দেখা হয়। কিন্তু ভারতে তেমনটা নয়। এ দেশে যারা বিমার আওতায় আছেন, তাঁদের যদি ১০০ টাকার বিমার প্রযোজন থাকে তাহলে তাঁরা মাত্র সাত টাকা আশি পয়সার ব্যবস্থা করেছেন। তাই রোজগেরে মানুষটি চলে গেলে এত বেশি সংখ্যক পরিবার পথে বসে যায়! জীবন বিমা করা থাকলে ভাল-মন্দ কিছু একটা হয়ে গেলেও পরিবার অন্তত পথে বসবে না।
advertisement
কত রকমের জীবন বিমা হয়? গ্রাহকের বাজেট অনুযায়ী বাজারে হাজার রকমের জীবন বিমা আছে। তবে বিমা করানোর আগে আবেদনকারীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। তার পর প্রিমিয়ামের কিস্তি ঠিক হয়। যদিও বেশ কিছু বিমা আছে যেখানে পরীক্ষার দরকার হয় না।
টার্ম লাইফ ইনস্যুরেন্স: সবচেয়ে জনপ্রিয় জীবন বিমা পলিসি হল টার্ম লাইফ ইনস্যুরেন্স। সাধারণত ১০ থেকে ৩০ বছরের মেয়াদ থাকে। সেই অনুযায়ী প্রিমিয়াম দিতে হয়। পলিসি হোল্ডার মারা গেলে পরিবার বিমার টাকা পাবেন।
হোল লাইফ ইনস্যুরেন্স: এই পলিসির মেয়াদ গ্রাহকের সম্পূর্ণ জীবনকাল। এর প্রিমিয়াম সবচেয়ে ব্যয়বহুল। তবে সারাজীবনের সুবিধা গ্রাহকের মনে শান্তি দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারকে বিমার টাকা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এক নজরে দেখে নিন এটিএম কার্ড ও ডেবিট কার্ডের মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে!
ইউনিভার্সাল লাইফ ইনস্যুরেন্স: হোল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মতোই এটাও স্থায়ী কভারেজ দেয়। এর প্রিমিয়ামও ব্যয়বহুল। তবে কিছু সুবিধা আছে। কত কভারেজ মিলবে সেই অনুপাতে মাসিক কিস্তির পরিমাণ গ্রাহক নিজে ঠিক করতে পারে।
ভ্যারিয়েবল লাইফ ইনস্যুরেন্স: এটাও আমৃত্যু কভারেজ দেয়। সঙ্গে সঞ্চয়ের সুবিধাও মেলে।
আরও পড়ুন: সোনার কয়েন না কি সোনার বার? বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনটা আপনার জন্য সেরা?
গ্রুপ লাইফ ইনস্যুরেন্স: নামেই বোঝা যাচ্ছে, এই ধরনের বিমা সাধারণত একটা গ্রুপকে দেওয়া হয়। সেটা কর্মক্ষেত্রে হতে পারে বা কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের। পৃথক মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াই এর কভারেজ মেলে।
সাপ্লিমেন্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স: গ্রুপ লাইফ ইনস্যুরেন্স যেমন নিয়োগকর্তা প্রদান করে, তেমনভাবে সাপ্লিমেন্টাল লাইফ ইনস্যুরেন্স বিমার কভারেজ বাড়ানোর জন্য কেনা যায়। সাধারণত কোনও কোম্পানির থেকে প্রাপ্ত বিমার কভারেজ বাড়ানোর জন্য কর্মচারীরা এই ধরনের ইনস্যুরেন্স কেনেন।
ফ্যামিলি লাইফ ইনস্যুরেন্স: পরিবারের সমস্ত সদস্যদের জন্য বিমাই হল ফ্যামিলি লাইফ ইনস্যুরেন্স। এক্ষত্রে সাধারণত পরিবারের কর্তা আমৃত্যু এবং স্ত্রী-সন্তানরা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের কভারেজ পান।
গ্যারেন্টেড লাইফ ইনস্যুরেন্স: যাঁদের স্বাস্থ্য খারাপ, কিন্তু অন্য কোনও ধরনের জীবন বিমা পান না তাঁদের জন্য গ্যারেন্টেড লাইফ ইনস্যুরেন্স। তবে যে কেউ এই বিমার আওতায় আসতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ হারে প্রিমিয়াম দিতে হয়।
নো এক্সাম লাইফ ইনস্যুরেন্স: অধিকাংশ জীবন বিমার জন্য মেডিক্যাল চেকআপ বাধ্যতামূলক। তবে অল্পবয়সী এবং স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি যাঁরা মেডিক্যাল পরীক্ষার ঝামেলা এড়াতে চান তাঁরা এই ধরনের বিমা নিতে পারেন।
ফাইনাল এক্সপেন্স লাইফ ইনস্যুরেন্স: এটা প্রাপ্তবয়স্কদের জীবন বিমা। সাধারণত মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াই এই বিমা দেওয়া হয়।