TRENDING:

স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ কী ভাবে দেওয়া হয়?

Last Updated:

কী কী উপায়ে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ প্রদান করা যায়?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: এক জন ক্রেতা যখন নতুন কোনও সম্পত্তি কেনেন, তখন বিক্রেতার কাছ থেকে আইনি ভাবে মালিকানা হস্তান্তর করতে এককালীন স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ শুল্ক হিসেবে প্রদান করতে হয়। এই শুল্কের পরিমাণ সম্পত্তির বাজার দর বা ক্রয়মূল্যের ৭% থেকে ১০% পর্যন্ত হতে পারে। রেজিস্ট্রেশন ফি সাধারণত ১% হয়, যেখানে স্ট্যাম্প ডিউটি ৫% থেকে ৭% পর্যন্ত হতে পারে। রাজ্য সরকার এই শুল্ক ধার্য করে, তাই বিভিন্ন রাজ্যে এই শুল্কের পরিমাণও ভিন্ন ভিন্ন হয়। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চল বা পঞ্চায়েত এলাকার তুলনায় পৌর এলাকাগুলিতে স্ট্যাম্প ডিউটির পরিমাণ বেশি হয়।
advertisement

আরও পড়ুন: এই দিন আসতে চলেছে যোজনার ১১ তম কিস্তির টাকা, শীঘ্রই চেক করে নিন স্টেট্যাস

কী কী উপায়ে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ প্রদান করা যায়?

নিম্নলিখিত তিনটি উপায়ে এক জন ক্রেতা তাঁর সম্পত্তি নিজের নামে নিবন্ধিত করতে স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ জমা দিতে পারেন। 

advertisement

  • স্ট্যাম্প পেপার
  • ফ্র্যাঙ্কিং
  • ই-স্ট্যাম্পিং 

এখানে উল্লেখ্য, দেশের সব রাজ্যে সম্পত্তি শুল্ক প্রদান করার জন্য এই তিনটি উপায় না-ও থাকতে পারে। যদি এই তিনটিই থাকে, তবে সুবিধামতো যে কোনও একটি পদ্ধতি অবলম্বন করে স্ট্যাম্প ডিউটি জমা দেওয়া যায়। 

advertisement

আরও পড়ুন: আপনিও কি ব্যাঙ্কে FD করিয়েছেন ? তাহলে অবশ্যই জেনে নিন এই বিষয়টি....

স্ট্যাম্প পেপার:

স্ট্যাম্প পেপার ক্রয় করে সম্পত্তি শুল্ক জমা দেওয়া হল, আইনি ভাবে মালিকানা হস্তান্তরের সব চেয়ে পুরনো প্রক্রিয়া। এই ক্ষেত্রে গ্রাহককে অনুমোদিত বিক্রেতার কাছ থেকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপার কিনতে হয়। স্ট্যাম্প পেপার নেওয়ার পরে তাতে লেনদেনের সমস্ত তথ্য হাতে লিখে অথবা টাইপ করে বিবৃত করতে হয়। এক জন অনুমোদিত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রেতা খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন কাজ। অনেক সময় রেজিস্ট্রেশন করার জন্য স্ট্যাম্প পেপারের ঘাটতি দেখা যায়। সম্পত্তির দামের উপর নির্ভর করে এই স্ট্যাম্প পেপারগুলি ক্রয় করতে হয়। যদি সম্পত্তির দাম বেশি হয়, তবে শুল্কের পরিমাণ বেশি হবে। সে ক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক স্ট্যাম্প পেপার কিনতে হয় এবং একই ভাবে স্ট্যাম্প ডিউটি কম হলে কম কাগজ প্রয়োজন হয়।

advertisement

ই-স্ট্যাম্পিং:

নকল স্ট্যাম্প পেপারের জটিলতা এড়াতে এবং শুল্ক প্রদানের প্রক্রিয়াকে আরও সরল করতে ভারত সরকার ই-স্ট্যাম্পিং পরিষেবা শুরু করেছে। কিছু কিছু রাজ্যে ই-স্ট্যাম্পিং পদ্ধতিকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদানের প্রক্রিয়াকে ই-স্ট্যাম্পিং বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (SHCIL) সংস্থাকে ই-স্ট্যাম্পের অফিসিয়াল বিক্রেতা হিসেবে নিযুক্ত করেছে। এ ছাড়া, সেন্ট্রাল রেকর্ড কিপিং এজেন্সি হিসেবে দেশে ব্যবহৃত সমস্ত স্ট্যাম্পের ট্র্যাক রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই সংস্থাকেই। 

advertisement

ই-স্ট্যাম্পিং ব্যবহার করতে গ্রাহককে SHCIL-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নিশ্চিত করতে হবে, তার রাজ্যে ই-স্ট্যাম্পিং পরিষেবার সুবিধা রয়েছে কি না। যদি ই-স্ট্যাম্পিংয়ের সুবিধা থাকে, তবে এর পর একটি আবেদন ফর্ম যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে। এই ফর্মেই উল্লেখ করা থাকবে আবেদন ফর্মটি কোথায় জমা দিতে হবে। অনলাইনেই স্ট্যাম্প ডিউটির টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্রটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা দিতে হবে। 

ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, চেক, ডিম্যান্ড ড্রাফট এবং অনলাইন ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করে স্ট্যাম্প ডিউটির টাকা প্রদান করা যায়। শুল্ক জমা দেওয়া হয়ে গেলে গ্রাহক একটি ই-স্ট্যাম্প সার্টিফিকেট পাবেন, যেখানে থাকবে একটি ‘ইউনিক সার্টিফিকেশন নম্বর (UIN)’। সার্টিফিকেটের উপরেই ‘ইস্যু ডেট’ লেখা থাকবে। 

ই-স্ট্যাম্পিং প্রক্রিয়ার সব চেয়ে বড় সুবিধা হল, এটি খুবই সহজ এবং বাড়িতে বসে করা যায়। এ ছাড়া ই-স্ট্যাম্পিং করা থাকলে UIN নম্বর ব্যবহার করে যে কোনও সময় অনলাইনে সম্পত্তির তথ্য যাচাই করা যায়। 

আরও পড়ুন: বিপুল দাম বাড়ল সোনা ও রুপোর, দেখে নিন ২২ ক্যারেটের দাম

ফ্রাঙ্কিং

স্ট্যাম্প ডিউটি প্রদান করার অন্যতম পদ্ধতি হল ফ্র্যাঙ্কিং। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে এক জন অনুমোদিত ফ্র্যাঙ্কিং এজেন্ট সম্পত্তির মালিকের নথি পত্রে এক ধরনের স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেবে। এই স্ট্যাম্প নির্দেশ করবে যে, গ্রাহক তাঁর সম্পত্তি শুল্ক প্রদান করেছে। ফ্র্যাঙ্কিং প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে গ্রাহককে একটি অনুমোদিত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্র্যাঙ্কিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য আবেদন করতে হবে। স্ট্যাম্প ডিউটির টাকা জমা দেওয়া হয়ে গেলে ফ্র্যাঙ্কিং মেশিন ব্যবহার করে গ্রাহকের নথিতে স্ট্যাম্প বসানো হবে। এই স্ট্যাম্পই শুল্ক প্রদানের প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। 

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বিজয়াতেই ঘরে ঘরে 'টিকা'র প্রস্তুতি! গোর্খাদের এই উৎসব বাঙালির খুব চেনা
আরও দেখুন

প্রত্যেক রাজ্যেই ফ্রাঙ্কিং পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য ন্যূনতম চার্জ নির্ধারিত থাকে। উদাহরণ স্বরূপ, বেঙ্গালুরুতে ন্যূনতম ফ্র্যাঙ্কিং চার্জ চুক্তি মূল্যের ০.১% হিসেবে ধার্য করা হয়ে থাকে। সুতরাং, ক্রেতা যদি ৫০ লক্ষ টাকায় একটি সম্পত্তি কেনেন, তবে তাঁকে ফ্র্যাঙ্কিং চার্জ হিসেবে ৫০০০ টাকা (৫০ লক্ষ টাকার ০.১%) দিতে হবে। তবে এই টাকা অতিরিক্ত ভাবে কাটা হয় না। বিক্রয় দলিল তৈরি করার সময় এই চার্জ সেখানে ধরে নেওয়া হয়। অর্থাৎ, যদি বিক্রয় দলিলের স্ট্যাম্প ডিউটি ৫.৫% হয়, তবে ফ্র্যাঙ্কিং করার সময় কাটা ০.১% এখানে বাদ দেওয়া হবে। গ্রাহককে মোট (৫.৫-০.১) = ৫.৪% শুল্ক প্রদান করতে হবে। 

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
স্ট্যাম্প ডিউটি এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ কী ভাবে দেওয়া হয়?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল