TRENDING:

১২ দিনেই পাট পচে উজ্জ্বল সোনালি আঁশ...! চাষিদের কাজ সহজ করতে এবার এসে গেল দুর্দান্ত জৈবিক দ্রবণ

Last Updated:

পাট পচন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতির বিষয়ে এলাকার ৫০ জন কৃষককে অবগতির পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর: জেলার পাট চাষিদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ICAR-NINFET, কলকাতা এবং কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র দক্ষিণ দিনাজপুর যৌথভাবে বালুরঘাট ও তপন ব্লকের চারটি গ্রাম পার্বতীপুর, দুর্লভপুর, দক্ষিণ হরসুরা এবং পাটকোলায় সম্পূর্ণ জৈব রেটিং ফর্মুলেশন NINFET-জৈবিক এর উপর প্রদর্শনীমূলক কর্মসূচি আয়োজন করেন। দুইদিন ব্যাপী এই সমীক্ষায় পাট চাষিদের আধুনিক পাট পচন কীভাবে করা প্রয়োজন কিংবা কীভাবে অধিক লাভজনক করে তোলা সম্ভব তো বিষয়গুলি উপর আলোকপাত করা হয়। আধুনিক পাট পচন পদ্ধতির ব্যবহার এবং পাটজাত হস্তশিল্প সামগ্রী উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকেরা তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এদিন পাট পচন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতির বিষয়ে এলাকার ৫০ জন কৃষককে এই বিষয়ে অবগতির পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন বিজ্ঞানীরা।
advertisement

ICAR-NINFET-এর সদস্যরা জানান, “পাট পচনের সময় যদি কৃষকেরা ‘NINFET-জৈবিক’ নামক পাট পচানোর জৈবিক দ্রবণ প্রতি বিঘায় ৪-৫ লিটার হারে ব্যবহার করেন, তবে মাত্র ১২-১৫ দিনের মধ্যেই পাট পচন সম্পন্ন হয়। যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে এই কাজ শেষ হতে ২২-২৫ দিন সময় লাগে। উন্নত এই রেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা উজ্জ্বল সোনালি রঙের উচ্চমানের পাট আঁশ লাভ করেন, যার বাজারমূল্য অনেক বেশি।”

advertisement

আরও পড়ুন: উন্নত লাইফ সাপোর্ট…! সংকটজনক পরিস্থিতিতেও বিনামূল্যে চিকিৎসা, এবার দুর্দান্ত পরিষেবা সিউড়ি সদর হাসপাতালেই

অনেক সময় পাটের জাক ডুবিয়ে রাখতে কাদা বা কলাগাছের গুঁড়ি ব্যবহার করা হয়, যা আঁশে কালো দাগ ফেলে এবং তার মান নষ্ট করে। এর পরিবর্তে জল-কাদা ভর্তি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে পাটের কাণ্ড সরাসরি সংস্পর্শে না আসে। এই সহজ নিয়মগুলি অনুসরণ করলে কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমি থেকে অতিরিক্ত ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

পাশাপাশি, কৃষকদের মধ্যে এ বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয় যে, প্রতি বছর ICAR-NINFET, কলকাতা পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য বিভিন্ন হস্তশিল্প ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করে। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিলারা পাট দিয়ে ব্যাগ, ম্যাট, কার্পেট, গয়না ও অন্যান্য হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরির কৌশল আয়ত্ত করছেন। এর ফলে তাঁরা ঘরে বসেই স্বনির্ভরভাবে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাঁদের পারিবারিক আর্থিক নিরাপত্তা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

advertisement

সুস্মিতা গোস্বামী

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
১২ দিনেই পাট পচে উজ্জ্বল সোনালি আঁশ...! চাষিদের কাজ সহজ করতে এবার এসে গেল দুর্দান্ত জৈবিক দ্রবণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল