ICAR-NINFET-এর সদস্যরা জানান, “পাট পচনের সময় যদি কৃষকেরা ‘NINFET-জৈবিক’ নামক পাট পচানোর জৈবিক দ্রবণ প্রতি বিঘায় ৪-৫ লিটার হারে ব্যবহার করেন, তবে মাত্র ১২-১৫ দিনের মধ্যেই পাট পচন সম্পন্ন হয়। যেখানে প্রচলিত পদ্ধতিতে এই কাজ শেষ হতে ২২-২৫ দিন সময় লাগে। উন্নত এই রেটিং পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকেরা উজ্জ্বল সোনালি রঙের উচ্চমানের পাট আঁশ লাভ করেন, যার বাজারমূল্য অনেক বেশি।”
advertisement
অনেক সময় পাটের জাক ডুবিয়ে রাখতে কাদা বা কলাগাছের গুঁড়ি ব্যবহার করা হয়, যা আঁশে কালো দাগ ফেলে এবং তার মান নষ্ট করে। এর পরিবর্তে জল-কাদা ভর্তি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে পাটের কাণ্ড সরাসরি সংস্পর্শে না আসে। এই সহজ নিয়মগুলি অনুসরণ করলে কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমি থেকে অতিরিক্ত ৩,০০০ থেকে ৪,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাশাপাশি, কৃষকদের মধ্যে এ বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয় যে, প্রতি বছর ICAR-NINFET, কলকাতা পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামীণ মহিলাদের জন্য বিভিন্ন হস্তশিল্প ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করে। এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিলারা পাট দিয়ে ব্যাগ, ম্যাট, কার্পেট, গয়না ও অন্যান্য হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরির কৌশল আয়ত্ত করছেন। এর ফলে তাঁরা ঘরে বসেই স্বনির্ভরভাবে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাঁদের পারিবারিক আর্থিক নিরাপত্তা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সুস্মিতা গোস্বামী