বর্তমানে বেঙ্গালুরু থেকে মাইসোর যেতে সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। কিন্তু নতুন সড়ক নির্মাণ হয়ে গেলে সেই দূরত্ব কমে যাবে মিনিটে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) বলেছেন, ‘কর্নাটকের বেঙ্গালুরু থেকে মাইসোরের দূরত্ব কমাতে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য প্রস্থ বাড়ানো হচ্ছে। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই মাত্র ৭৫ মিনিটে বেঙ্গালুরু থেকে মাইসোর যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ’।
advertisement
এই খবর জানিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন গড়করি। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কর্নাটকের ২৭৫ নম্বর জাতীয় সড়ককে ১০ লেনের হাইওয়েতে বদলে ফেলা হচ্ছে। ১১৭ কিমি দীর্ঘ বেঙ্গালুরু-নিদাঘাট্টা-মাইসোর অংশের সড়ক চওড়া করার কাজ চলছে। খরচ হচ্ছে ৮,৩৫০ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের নভেম্বর থেকেই যানবাহন চলাচলের জন্য এই নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। গড়করির কথায়, ‘এতে কর্নাটকের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে। সংযোগ বাড়বে। ফলে উভয় অঞ্চলের পর্যটন এবং অর্থনীতি নতুন গতি পাবে’।
বেঙ্গালুরুতেই রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ আইটি সেক্টর। ফলে এই শহরের গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাভাবিকভাবে বেঙ্গালুরুকে কর্নাটকের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্য দিকে, মাইসোর কর্নাটকের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ছাড়াও মেঙ্গালুরু, কোডাগু এবং কেরলের কিছু অংশকেও বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত করবে এই জাতীয় সড়ক। এটাকে অ্যাকসেস কন্ট্রোল সুবিধা হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। সড়কের দু'পাশে রাখা হচ্ছে সার্ভিস রোডের ব্যবস্থা।
জাতীয় সড়কের বেঙ্গালুরু-নিদাঘাট্টা-মাইসোর অংশে যানজট কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নজর দেওয়া হয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের দিকেও। এই দুটি জিনিস মাথায় রেখে এখানে তৈরি করা হয়েছে ৮ কিমি দীর্ঘ এলিভেটেড করিডর, ৯টি বড় সেতু, ৪২টি ছোট সেতু, ৬৪টি আন্ডারপাস, ১১টি ওভারপাস, ৪টি আরওবি এবং ৫টি বাইপাস।
