সাধারণত বাজারের এই মন্দার সময়, টাকা লেনদেন বা বিনিয়োগ বন্ধ করে দেন লগ্নিকারীরা। শুধু শেয়ার বাজারেই নয়, মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি-তেও লগ্নি করাও বন্ধ করে দেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ভুল বিনিয়োগ কৌশল। বাজারের বৃদ্ধি হোক বা পতন, উভয় ক্ষেত্রেই এসআইপি সবচেয়ে কার্যকর।
আরও পড়ুন: আজ আরও সস্তা হল সোনা, কেনার আগে দেখে নিন আপনার শহরে ১০ গ্রামের লেটেস্ট দাম
advertisement
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে লগ্নিকারী একটা ইউনিট পান। বাজারে মন্দা চললে আরও বেশি ইউনিট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়ায় এবং বাজার ফের বাড়তে শুরু করে তখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রিটার্ন মেলে। মন্দার সময়েও বিনিয়োগ চালিয়ে গেলে তবেই এটা সম্ভব।
এই ভুল কদাপি নয়: বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, মন্দার সময় কিছু বিনিয়োগকারী এসআইপি বন্ধ করে দিয়ে পুরনো ইউনিট বিক্রি করে দেন। এটা আদতে লোকসান। কারণ, বিনিয়োগকারী বেশি দামে কিছু কিনছেন এবং কম দামে সেটা বিক্রি করে দিচ্ছেন। যখন এসআইপি-তে বিনিয়োগের কথা আসে তখন পতনের সম্পূর্ণ চক্রটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে, সেই চক্র যতদিনই চলুক না কেন। তবেই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে উচ্চ রিটার্ন পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
আরও পড়ুন: অক্ষয় তৃতীয়ায় গোটা দেশে বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার সোনা
পতনের সময় বিনিয়োগ করলেই লাভ: রাত কাটলে তবেই ভোর আসে। তেমনই বাজারে পতনের পর উত্থানও আসবে। এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই বাজারের উত্থান পতন বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। ডাউনট্রেন্ডের সময় বাজার বোঝা কঠিন, কিন্তু স্টক জমা করার এটাই সেরা সময়। বাজার যত বেশি পড়বে, এসআইপির জন্য তত ভালো হবে। কম টাকায় বেশি ইউনিট কেনা যাবে।
আরও পড়ুন: বাজারে এল ভারতের সবচেয়ে বড় আইপিও, বিড করার আগে জেনে নিন ১০ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
আয় বাড়লে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে: আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসআইপিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটাই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের সর্বোৎকৃষ্ট কৌশল। এর জন্য টপ আপ বিকল্প বেছে নিতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। যেমন, প্রতি মাসে কেউ টপ আপের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ শুরু করলেন। এর সঙ্গে আয় যত বাড়ল বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়তে থাকল। এভাবে চললে খুব দ্রুত আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।