বিনিয়োগে ঝুঁকি—
শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করা সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। কৌশল করে চললে ঝুঁকি কমতে পারে। কিন্তু তা কখনই ফিক্সড ডিপোজিটের মতো নিরাপদ নয়, এটা মনে রাখতে হবে। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ঝুঁকি কাজ করে,
১, বাজারগত ঝুঁকি: কোনও স্টকের চাহিদা ও সরবরাহের উপর স্টকের দাম নির্ধারিত হয়। ফলে তা প্রতিদিন ওঠানামা করে। এই স্টক বিক্রি করে লাভ করা যায় বা কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ থেকেও লাভ করা যায়। ফলে কোনটিই নির্দিষ্ট নয়।
advertisement
আরও পড়ুন - GT vs CSK: একেবারে ফ্রিতেও দেখতে পাবেন এবারের আইপিএল, কোথায় কখন দেখবেন ওপেনিং ম্যাচ
২. সংস্থার ঝুঁকি: কোনও সংস্থার ব্যবসা সমস্যার সম্মুখীন হলে তার স্টকের দাম পড়বে।
৩. লিক্যুইডিটির ঝুঁকি: কোনও সংস্থার শেয়ার থেকে লভ্যাংশ পাওয়া নিয়মিত আয়ের উৎস হতে পারে। কিন্তু ওই সংস্থার লিক্যুইডিটি কেমন তার উপর নির্ভর করে শেয়ারের দরের উত্থান-পতন হতে পারে।
৪. করের ঝুঁকি: রাজস্ব আইনে নানা পরিবর্তন হচ্ছে। যদি কোনও সংস্থা এই কর অধিনিয়মের আওতায় পড়ে প্রভাবিত হয়, তাহলে স্টকেও প্রভাব পড়বে।
৫. সুদের হারে ঝুঁকি: সুদের হার বাড়া বা কমার উপর নির্ভর করে স্টকের মূল্য। উচ্চ হারে ঋণ নিতে হলে সংস্থাগুলি তাদের মুনাফা হ্রাস করতে পারে। আবার সুদের হার কম হওয়ার অর্থ মন্দা। তাতেও ব্যবসার ক্ষতি।
৬. নিয়ন্ত্রকের ঝুঁকি: ফার্মাসিউটিকলস, তামাক, টেলিকমিউনিকেশনের মতো সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটরির আওতায় থাকে। সেখানে কোনও পরিবর্তন হলে ব্যবসাতেও প্রভাব পড়ে।
৭. মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতির ফলে বাজারের সমস্ত পণ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। তার প্রভাব ব্যবসাতেও পড়ে। সংস্থার মুনাফার উপর প্রভাব পড়ে, শেয়ারের দাম কমে যেতে পারে।
ঝুঁকি রোধ করার উপায়—
বড় অঙ্কের টাকা একটি স্টকে বা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত স্টকে বিনিয়োগ না করাই ভাল। যাতে একটির দাম পড়লেও অন্যটি না পড়ে। বিভিন্ন আকারের সংস্থায় বিনিয়োগ করাই ভাল।
বিনিয়োগের আগে সব দিক ভাল করে যাচাই করে নিতে হবে। সংস্থা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য হাতে নিয়ে কাজে নামতে হবে।
আবেগের বশবর্তী হয়ে বিনিয়োগ করা যায় না।
বিনিয়োগ করে নিয়মিত তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নিজে কতটা ঝুঁকি নিতে সক্ষম তার দিকে খেয়াল রেখেই বিনিয়োগ করতে হবে। পোর্টফোলিওতে এমন কিছু স্টক রাখতে হবে যা উচ্চ লভ্যাংশ দেবে।