আরও পড়ুন: ১ লাখ থেকে লাফিয়ে ৯.২৫ লাখ! ৩ বছরে ৮০০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে এই স্টক!
এনএসও এবং এসবিআই-এর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২০১৯-২০ সালে গোটা দেশে গয়না আকারে সোনা এবং রুপো সঞ্চয়ের মোট পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালে তা কমে হয় ৩৮ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। দু'বছর পিছিয়ে গেলে অর্থাৎ ২০১৭-১৮ সালে সেটা ছিল ৪৬ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। তার পরের বছর ২০১৮-১৯ সালে তা কমে হয় ৪২ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা।
advertisement
৩১ জানুয়ারি টোটাল গ্রস ফিনান্সিয়াল সেভিংসের তথ্য প্রকাশ করেছে এনএসও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, করোনা আবহে মানুষের ঋণ বেড়েছে। সঞ্চয় কমেছে। গত অর্থবর্ষে ৭.১ লক্ষ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। যা কোনও আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ। আর্থিক দায় বেড়েছে ১৮ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। পিএফসিই-র তথ্য বলছে, করোনার জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার আমূল বদল ঘটেছে। ভোগ্য বস্তু বাছার ক্ষেত্রে মানুষ আগের থেকে অনেক সাবধানী। এর প্রভাব পড়েছে মুদ্রাস্ফীতিতেও।
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে এবার দিতে হবে ট্যাক্স, আয়কর রিটার্ন ফর্মে থাকবে পৃথক কলাম!
এসবিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ অর্থবর্ষে মানুষ খাওয়াদাওয়ার পিছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে। কত? পরিসংখ্যান বলছে, খাদ্য এবং পানীয়ে (অ্যালকোহল নয়) ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ বেড়েছে। অন্য দিকে পরিবহন, পোশাক, হোটেল-রেস্তোরাঁ, জুতোর মতো পণ্যে খরচ কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
২০২২-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় প্রকাশ, ভারতবাসী বাজারে টাকা ঢালছে। ইক্যুইটি ক্যাশ সেগমেন্টে খুচরো বিনিয়োগকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে এনএসই-তে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ শতাংশ। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। তাছাড়া গত এক দশকে আইপিও-ও বেড়েছে সমান তালে।
আরও পড়ুন: বিশাল সুযোগ! এক টাকার এই সাধারণ নোট থাকলেই পাবেন ৭ লক্ষ টাকা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা বোঝেন সম্পদ সৃষ্টির জন্য বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে ভয় পান না। এখন স্টার্টআপের আইপিও-গুলির দিকে বিশাল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা ক্রিপ্টোকারেন্সি ছাড়াও অন্যান্য ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। তারই প্রতিফলন পড়েছে এই সমীক্ষায়।