করোনা পরিস্থিতি, দীর্ঘ লকডাউনের (Lockdown) মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্যান্ট্রি কার পরিষেবা। একমাত্র দেওয়া হচ্ছিল রেডি টু ইট মিল। সেখানে ছিল নুডলস, পোহা সহ বেশ কিছু বাছাই করা খাবার।প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ফের চালু করার জন্য রেলের কাছে কিছুদিন আগেই অনুমতি চেয়েছিল আইআরসিটিসি। তাদের আবেদন মেনে নিয়েছে রেল বোর্ড। এই বিষয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে চলেছে রেল বোর্ড। ক্যাটারিং পলিসি নিয়ে বৃহস্পতিবার একদফা বৈঠক হয়েছে।
advertisement
আইআরসিটিসি'র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিষ চন্দ্র জানিয়েছেন, "ফের এই পরিষেবা শুরু হলে দূরপাল্লার যাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হবে। আবার তাঁরা ট্রেনের ভিতরেই তৈরি করা খাবার অর্ডার করে খেতে পারবেন। আমরা ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। আমাদের যে সব কিচেন আছে সেগুলির পরিকাঠামো দেখা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ট্রেনে যাতায়াতে ছাত্র-ছাত্রীদের মিলবে 'পাস'
করোনা পরিস্থিতিতিতে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশজুড়ে । সংক্রমণের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। তার পর থেকে রেলে শুকনো খাবার মিললেও তৈরি খাবার পাওয়ার কোনও বন্দোবস্ত ছিল না। তবে কিছুদিন আগে ই-ক্যাটারিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ফলে অর্ডার দিয়ে মিলছিল নানা স্বাদের খাবার।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ দিন সমস্যা হতে পারে রেলের টিকিট রিজার্ভেশনে, পরিষেবা বন্ধ থাকবে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টার জন্য
দেশজুড়ে প্রথম লকডাউন শুরুর পর থেকেই প্যান্ট্রি কার পরিষেবা তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেয় রেল। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রথম কয়েক মাস যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। তবে সেই সমস্ত ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকলেও রান্না হত না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইআরসিটিসি বিভিন্ন স্টেশনে শুকনো খাবার দেওয়ার পরিষেবা চালু করেছিল ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে। অর্থাৎ, যাত্রীরা অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিলে নির্দিষ্ট স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে সংশ্লিষ্ট কেটারিং সংস্থা সেই যাত্রীর কাছে খাবার পৌঁছে দিত।
এবার খুব তাড়াতাড়ি ই-ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে রেলের পুরনো প্যান্ট্রি কার পরিষেবাও পেয়ে যাবেন যাত্রীরা।সাধারণভাবে ট্রেনের একটি প্যান্ট্রি কারে রাঁধুনি এবং ওয়েটার-সহ ২০ থেকে ৩০ জন কাজ করেন। কমবেশি ৩৫০ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেনে প্যান্ট্রি কার পরিষেবা ছিল। এর মধ্যে আছে মেল, এক্সপ্রেস, সুপারফাস্ট, প্রিমিয়াম সার্ভিস ট্রেন রয়েছে। উল্লেখ্য ট্রেনের প্যান্ট্রিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা রেলের স্থায়ী কর্মী নন। বেসরকারি ঠিকাদারের অধীনে কাজ করে থাকেন। তাই ফের এই পরিষেবা চালু হলে তাঁদের রুজি রোজগারের সুরাহা হবে।