তবে আচমকা কেন নিক্সন ইভি-র দাম বাড়ানো হল, সেই নিয়ে কিছু জানায়নি টাটা। চলতি বছরের শুরুতেও একবার এই মডেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে ক্রমবর্ধমান ইনপুট খরচ বৃদ্ধির কারণেই দাম বাড়ানো হয়েছে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাড়ির রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির মধ্যে দাম কমল Commercial Cylinder-এর
যে মডেলগুলির দাম বাড়ানো হয়েছে: যে নেক্সন ইভি মডেলগুলির দাম বাড়ানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এক্সএম, এক্সজেড প্লাস, এক্সজেড প্লাস লাক্সারি, ডার্ক এক্সজেড প্লাস এবং ডার্ক এক্স জেড প্লাস লাক্সারি ভ্যারিয়েন্ট। টাটা নিক্সন ইভি আগে ১৪.২৯ লক্ষ (এক্স-শোরুম) টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে হল ১৪.৫৪ লক্ষ (এক্স-শোরুম) টাকা। এর শীর্ষ মডেল টাটা নিক্সন ইভি ডার্ক এক্স জেড প্লাস লাক্সারি ভ্যারিয়েন্টের দাম বেড়ে হয়েছে ১৭.১৫ লক্ষ (এক্স-শোরুম) টাকা। আগে এর দাম ছিল ১৭ লাখ টাকার কম।
advertisement
আরও পড়ুন: বিনিয়োগকারীর সোনায় সোহাগা, এই ৮ শেয়ার প্রতি বছরে দিয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ রিটার্ন!
নিক্সন ইভি একাই ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের ৬০ শতাংশ দখল করে রয়েছে। ২০১৯ সালে এই ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করা হয়েছিল। এতে আছে ৩০.২ কে ডব্লিউএইচ ব্যাটারি প্যাক। একবার চার্জে ৩১২ কিমি পাড়ি দিতে সক্ষম। মাত্র ৯.১৪ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় গতি তুলতে পারে। এর ইঞ্জিন ১২৭ বিএইচপি এবং ২৪৫ এনএম টর্ক জেনারেট করে। জিপট্রন প্রযুক্তিতে এই গাড়িটি তৈরি করেছে টাটা।
আরও পড়ুন: সোনায় বিনিয়োগ কখনও হতাশ করে না, তবে তার আগে দাম জেনে নেওয়া জরুরি!
এই ইলেকট্রিক গাড়িতে রয়েছে সম্পূর্ণ অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, কানেকটেড কার অ্যাপ। চাবি ছাড়াই এই গাড়িতে প্রবেশ করা যায়। একটা বোতাম টিপলেই চালু হয় ইঞ্জিন। হাই ভেরিয়েন্টে ৭ ইঞ্চি ড্যাশ-টপ ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে লাগানো হয়েছে চারটি হারমন স্পিকার ও টুইটার কানেকটেড। স্মার্টফোনের মাধ্যমে এই গাড়ির নেভিগেশন কাজ করে। আছে ভিডিও প্লে-ব্যাক, ভয়েস কম্যান্ডের মতো একাধিক আধুনিক ফিচার।
ভারতের ইলেকট্রিক গাড়ি সেগমেন্টে সবথেকে বেশি পরিমাণে বিক্রি হয় টাটা নিক্সন ইলেকট্রিক ভেহিকল। ২০১৯ সালে এই ইলেকট্রিক গাড়ি প্রথম লঞ্চ করা হয়েছিল। তারপর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিক্সন ইভি-র ১৩,৫০০টিরও বেশি ইউনিট বিক্রি হয়েছে।