আরও পড়ুন: LIC IPO-র শেয়ার বরাদ্দ চূড়ান্ত, আপনি কি পেয়েছেন? দৌড়ঝাঁপ না করে ঘরে বসে দেখুন!
মোমবাতি তৈরি এমনই একটা ব্যবসা যেটা ক্ষুদ্র শিল্পের মতো ঘরে বসে করা যায় আবার বড় পরিসরে কারখানা স্থাপন করেও করা সম্ভব। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে মোমবাতির বাজার প্রায় ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। ইদানীং লোডশেডিং কমে গিয়েছে। তাই বাড়িতে আলো জ্বালানোর জন্য মোমবাতির ব্যবহারও কমেছে। কিন্তু ঘরের অন্দরসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফলে মোমবাতির চাহিদাও উত্তরোত্তর বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১ লাখ বেড়ে ১৭ লাখ! লগ্নিকারীদের মালামাল করেছে এই সুপার মাল্টিব্যাগার স্টক!
কত বিনিয়োগ করতে হবে: খুব অল্প পুঁজিতেই মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করা যায়। প্রথম দিকে ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা খরচ করতে হতে পারে। মোমবাতি তৈরির মেশিন ছোট হয়। ফলে সেগুলো ইনস্টল করতেও খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হবে না। একটি মোমবাতি তৈরির মেশিনের দাম ২৫০০০ টাকা থেকে ৩৫০০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে তিন ধরনের মেশিন পাওয়া যায়। ম্যানুয়াল মেশিন, আধা-স্বয়ংক্রিয় মেশিন এবং সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিন। ম্যানুয়াল মেশিনে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০০ মোমবাতি তৈরি করা যায়। পরিচালনা করাও সহজ। অন্য দিকে, সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় মেশিনে প্রতি মিনিটে ২০০ মোমবাতি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার! ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস আরও কমাল মরগান স্ট্যানলি!
মেশিন ছাড়াও মোম, সুতো, রঙ এবং ইথার লাগবে। এছাড়া সুগন্ধী মোমবাতি তৈরি করলে সেন্টেরও প্রয়োজন হবে। বাজার বা অনলাইন থেকেই এই সমস্ত জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। প্রথমে ম্যানুয়াল মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করাই ভালো। ব্যবসা বাড়লে স্বয়ংক্রিয় মেশিন ইনস্টল করা যেতে পারে।
প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায়: মোমবাতি তৈরির ব্যবসায় নামার আগে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে অনেক সুবিধা হবে। দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে এর উপর ৩ মাসের কোর্স করানো হয়। এর মধ্যে দেহরাদুনের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ট্রেনিং সেন্টার, লখনউয়ের উলেন হোসিয়ারি ট্রেনিং সেন্টার, নতুন দিল্লির রাজঘাটে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ট্রেনিং সেন্টার, পাটনার ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ মাল্টি ডিসিপ্লিনারি ট্রেনিং সেন্টার, বারাবাঁকির খাদি গ্রাম শিল্প স্কুল, বীরপান্দির খাদি গ্রাম শিল্প স্কুল উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোমবাতি তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়।
কত লাভ হবে: কম টাকা বিনিয়োগ করলে প্রথমদিকে আয়ও একটু কম হবে। তবে মনে রাখতে হবে, পণ্যের গুণমান এবং বিপণন কৌশলের উপরেই উপার্জন নির্ভর করবে। তবুও শুরুতে মাসে ২০০০০ টাকা আয় সম্ভব। যদি কেউ সৃজনশীল হন এবং ডিজাইনার মোমবাতি তৈরি করতে পারেন তাহলে একধাক্কায় উপার্জন অনেকটা বেড়ে যাবে। কারণ আজকাল সুগন্ধী এবং ডিজাইনার মোমবাতির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।