কারেন্ট অ্যাকাউন্টে কতটা অর্থ রাখা যেতে পারে:
সাধারণত মনে করা হয় দু’তিন মাসের আপৎকালীন খরচ ওই অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখাই যথেষ্ট। আর তার সঙ্গে রাখতে হবে ৩০ শতাংশ বাফার। আসলে অনেক সময়ই অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম অর্থ না থাকলে ব্যাঙ্কগুলি জরিমানা করে। আবার কখনও চেক বাউন্সের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবেই এই অংশের টাকা রেখে দেওয়া দরকার।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য বড় খবর, চেক পেমেন্টের নিয়মে বড়সড় বদল
সেভিংস অ্যাকাউন্টে কত টাকা রাখা দরকার:
কারেন্ট অ্যাকাউন্টের থেকে বেশি অর্থই সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখা প্রয়োজন। অন্তত তিন থেকে ছ’মাসের জরুরি অর্থ সেভিংসে অ্যাকাউন্টে রেখে দেওয়া প্রয়োজন। এটা প্রয়োজনের ভিত্তিতে কম-বেশি হতেই পারে। বাকি টাকা কোনও সাশ্রয়ী খাতে বিনিয়োগ করাই ভাল।
কোন টাকা কোন অ্যাকাউন্টে রাখা হবে তার একটি স্পষ্ট হিসেব নিজের কাছে করে রাখতে হবে। এজন্য কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। যেমন—,
আরও পড়ুন: কমলো অশোধিত তেলের দাম! কলকাতায় আজ পেট্রোল ডিজেলের দাম কত হল জানুন
মাসিক খরচের খতিয়ান:
কোনও পরিবারে মোটামুটি সারা মাসে কতটা খরচ হয় তার একটা হিসেব থাকা দরকার। প্রতিদিনের খরচের হিসেব একমাস নজর করলেই এটা বেরিয়ে আসবে। তবে এর সঙ্গে যুক্ত করে নিতে হবে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে করা খরচও। কারণ এই টাকা হয়তো নিজে থেকেই প্রতিমাসে কাটা পড়ে ঋণ পরিশোধ বাবদ। এই মাসিক খরচের পরিমাণটুকুই কারেন্ট অ্যাকাউন্টে রাখা ভাল। সেই সঙ্গে কিছু টাকা যা জরুরি সময়ে কাজে লাগতে পারে।
অন্য দিকে, সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখতে হবে এই খরচেরই তিন বা ছ’গুণ টাকা। যা ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে। বাকি টাকাটা সঞ্চয় প্রকল্পে জমা করতে হবে।