ফেডারেল ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, আইআইএফএল ফাইন্যান্স, এনবিএফসিএস ইন্ডেল মানি, মণপ্পুরম ছাড়াও রুপিক, রুপটক, ধনদার গোল্ড ইত্যাদি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বাড়ির দোরগোড়ায় গোল্ড লোন দিয়ে যাবে (Gold Loan at Door Step) ।
গোল্ড লোন বা (Gold Loan) স্বর্ণ ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি খুবই সহজ। পছন্দসই সংস্থার অ্যাপের মাধ্যমে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। ব্যস, এরপর সংস্থার তরফে একজন ম্যানেজার গ্রাহকের বাড়িতে যাবেন। তিনিই সোনার মূল্যায়ন করে গ্রাহককে ঋণের বন্দোবস্ত করে দেবেন। তবে পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসাবে আধার বা প্যান কার্ড, ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসাবে বিদ্যুৎ বিল বা টেলিফোন বিল এবং সোনার ঋণের জন্য আবেদন করার সময় গ্রাহকের ছবি লাগবে।
advertisement
আরও পড়ুন - গোবর থেকে ব্যাগ, চপ্পল বানিয়ে বছরে ৩৬ লাখ! জেনে নিন কীভাবে!
ন্যূনতম এবং সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ফিনটেক সংস্থাগুলির মধ্যে পরিবর্তিত হয়। ফেডারেল ব্যাঙ্কের সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা এবং সর্বাধিক ১ কোটি টাকা বাড়ির দোরগোড়ায় পাওয়া যাবে। একইভাবে, ফিনটেক সংস্থাগুলির থেকে ২৫ হাজার থেকে ৭৫ লাখ টাকার ঋণ পাওয়া যাবে। ঋণের মেয়াদ ঋণদাতার সঙ্গে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তিত হয়।
মেয়াদ: ঋণপ্রদানকারী সংস্থার নীতির উপর নির্ভর করে এই মেয়াদ। যেমন এসবিআইয়ের গোল্ড লোন পরিশোধের সর্বোচ্চ সীমা ৩৬ মাস, এইচডিএফসি-র ক্ষেত্রে ৩-২৪ মাস পর্যন্ত, ইত্যাদি। অন্য দিকে মুথুট ফিনান্সের বিভিন্ন রকমের গোল্ড লোন স্কিমের মেয়াদ ভিন্ন।
আরও পড়ুন - কোনও নথিপত্র ছাড়া হোম লোন পাওয়া সম্ভব? জেনে নিন বিশদে!
মূল্য যাচাই: স্বর্ণের ওজন যাচাই করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সোনার সঙ্গে কোনও মূল্যহীন পাথর যুক্ত থাকলে সেই পাথরের ওজন বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়। এক্ষেত্রে স্বর্ণের বিশুদ্ধতাই আসল। ফলে সোনায় অবিশুদ্ধতার পরিমাণ অধিক হলে সেক্ষেত্রে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে লোনের পরিমাণ। পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণের থেকে গোল্ড লোনের সুদ বেশ খানিকটা কম। স্বর্ণঋণে বার্ষিক গড়ে ১২-১৩ শতাংশ সুদ হলেও এসবিআইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ যোজনায় এই সুদ ৭.৫ শতাংশ হতে পারে। অর্থনীতিবিদদের মতে, যেহেতু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ক্ষণে ক্ষণে গোল্ড লোনের নিয়মাবলী বদলায়, সেহেতু ঋণ নেওয়ার সময়ে সবকিছু আগাম জেনে রাখা উচিত। সাধারণত স্বর্ণের মূল্যের ৭০-৭৫ শতাংশ পর্যন্ত লোন পাওয়া সম্ভব।