এখনও খুব দেরি হয়ে যায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিনিয়োগ যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়, ততই ভাল। এতে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। ৪০ বছর বয়স মানে একটু দেরি তো হয়েছেই। তবে সব শেষ হয়ে যায়নি। চাকরিজীবীদের হাতে অন্তত ২০ বছর সময় এখনও আছে। সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের জন্য এই সময়কালটা কম নয় মোটেই। দীর্ঘমেয়াদে চক্রবৃদ্ধি হারে লাভ করার সুযোগ থাকছে।
advertisement
তবে হ্যাঁ, এই বয়সে ইক্যুইটির ‘ফাঁদে’ না পড়াই ভাল। এটা তরুণ বিনিয়োগকারীদের জন্য। তবে দীর্ঘমেয়াদি ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করাই যায়। হাতে যেহেতু অর্থ রয়েছে তাই, বিনিয়োগের দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন প্রকল্পের হাতছানিও এড়িয়ে যেতে হবে। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন ইনভেস্টোগ্রাফির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও শ্বেতা জৈন। সঙ্গে তিনি এও বলছেন, এই বয়সে যতটা সম্ভব সম্পত্তি এবং ঋণ এড়িয়ে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দিয়েছেন! এখনই সতর্ক না হলে খোয়া যেতে পারে সর্বস্ব!
আরও পড়ুন: এই নিয়ম মেনে ঘরে সোনা রাখছেন তো? না হলে আপনার ঝামেলা বাড়াবে আয়কর দফতর!
বিশদ আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি: আর্থিক পরিকল্পনা ছকার কোনও বয়স নেই। তবে ৪০ বছর বয়সেও যদি বিশেষ সঞ্চয় না থাকে তাহলে বিশদ আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি আদর্শগতভাবে প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিৎ। নিজের আর্থিক পরিস্থিতিটা চোখের সামনে ভেসে উঠবে। দেখে নিতে হবে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক দায়িত্ব কোনগুলি। ‘কী’ প্রয়োজন সেটা পরিষ্কার হয়ে গেলে, ‘কখন’ সেটা দরকার এবং ‘কীভাবে’ সেই প্রয়োজন পূরণ হবে সেটা ঠিক করতে হবে।
সীমিত কর্মজীবনে ভুলগুলো এড়িয়ে চলতে হবে: ৪০ বছর বয়স। বন্ধুবান্ধবরা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই কম বিনিয়োগ করে বেশি রিটার্নের পিছনে ছোটেন। এটা ফাঁদ। নিজের রিস্ক প্রোফাইল না বুঝে উচ্চ রিটার্নের খোঁজা, হাতে সীমিত সময়ের কারণে ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে, যা মেরামত করা ভবিষ্যতে আর সম্ভব হবে না।
এসআইপি টপ আপ: প্রতি বছর এসআইপিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সেটা মাসিক বিনিয়োগ হোক কিংবা বোনাস ইনসেনটিভ। দীর্ঘমেয়াদি এসআইপিগুলোই অবসরে বড় পোর্টফোলিও তৈরি করতে সাহায্য করবে।