আরও পড়ুন: ৫০০০ ফিট উপরে মাঝআকাশে বিমানের কেবিন ভরে গেল কালো ধোঁয়ায়, যা ঘটল দেখুন ভিডিও
গত বছর বাজেটে সোনার আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিয়েছিল সরকার। আগে সোনা (Gold) ও রুপোর (Silver) আমদানি শুল্ক ছিল ১২.৫ শতাংশ, যা ২০২১ সালের বাজেটে কমিয়ে করা হয় ৭.৫ শতাংশ। এখন আবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২.৫ শতাংশ। সোনার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব আজ দেখা গিয়েছে মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বা এমসিএক্স (MCX)-এও। আর এমসিএক্স-এ সোনার দাম প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫১৯০০ টাকা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাথার দাম ধার্য হয়েছিল পাঁচ লক্ষ,পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু সেই মাওবাদী নেতার
দাম বাড়তে পারে ১ হাজার টাকা
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম বাড়তে পারে প্রায় ১০০০ টাকা। আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাও কম সোনা আমদানি করবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখন বিয়ে কিংবা উৎসবের মরসুম নয়। তাই দেশীয় বাজারে সোনার চাহিদা আপাতত কম থাকতে পারে। সোনার চাহিদা বাড়তে শুরু করে অগাস্ট মাস থেকে।
ভারতের সোনা আমদানির পরিসংখ্যান
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে মোট ১০৫০ টন সোনা আমদানি করা হয় ভারতে। এর জন্য ভারত খরচ করেছে প্রায় ৫৫.৭ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৪১৪১.৩৬ বিলিয়ন টাকা। আবার ২০২০ সালে ৪৩০ টন সোনা আমদানি করা হয়, যার জন্য ভারত খরচ করেছিল ২৩ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ১৭১০ বিলিয়ন টাকা।
আরও পড়ুন: শ্রীচৈতন্যের নির্দেশে বর্ধমানের কুলীনগ্রাম থেকে রেশমি সুতোর পট্টদড়ি যেত পুরীতে
কেন বাড়ানো হল আমদানি শুল্ক?
সোনার আমদানি বেশি হওয়ায় ভারতীয় মুদ্রার দামের পতন ঘটছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে রেকর্ড সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে ভারতীয় মুদ্রা। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতিও বাড়ছে। আমদানি বিল বৃদ্ধির প্রভাব ফরেক্স রিজার্ভের উপরও পড়েছে এবং তা কিছুটা কমে এসেছে। সোনার চাহিদা কমানোর জন্য আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার, যাতে ভারতীয় মুদ্রার পতন বন্ধ করা যায়।