ইকনমিক টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, PSB Alliance Private Limited নামে একটি বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই এই কাজ করা হবে। এই বিষয়ে যাঁদের জ্ঞান রয়েছে, তাঁদের দাবি, প্রথমে এই অ্যালায়েন্স এই গোটা প্রক্রিয়াটির নীলনকশা ছকে নেবে। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র এই ৫টি ব্যাঙ্ক এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে। পরে অবশ্য অন্যান্য সরকারি ব্যাঙ্ক এখানে যোগ দেবে।
advertisement
এই যৌথ সংস্থা গঠনে প্রচুর সুবিধা পাবে ব্যাঙ্কগুলি, বলছেন সিনিয়র ব্যাঙ্ক আধিকারিকরা…
১. ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের মূল ব্যাঙ্কিং কাজের উপর মনোনিবেশ করতে পারবে।
২. যখন একই ঋণগ্রহীতা ভিন্ন ভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে একাধিক লোন নিয়ে থাকেন, তাঁর নেওয়া ঋণ পুনরুদ্ধার করা আরও সহজ হবে।
৩. National Asset Reconstruction Company (NARCL)-এর মতোই হবে এই সংস্থাটিও। একবার তা তৈরি হয়ে গেলেই সমস্ত সরকারি ব্যাঙ্ক এর স্টেক গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ৫ বছরে ৫ লাখ টাকা সরাসরি লাভ ! পোস্ট অফিসের এই আশ্চর্যজনক স্কিমের হিসেবটা শুধু বুঝে নিন
এটা অনেকটা প্রথম পদক্ষেপ-এর মতোই:
আর এক ব্যাঙ্ক আধিকারিক জানালেন যে, বর্তমানে শুধুমাত্র ৩-৪টি সরকারি ব্যাঙ্ক নিজেদের ছোট লোন পুনরুদ্ধারের কাজ সঁপে দেয় বহিরাগত কোনও কোম্পানির হাতে। ফলে এই নতুন জয়েন্ট রিকভারি কোম্পানিটি প্রথম এই ধরনের কোম্পানি হতে চলেছে। এরপরেও যদি লোন পুনরুদ্ধার না করা যায়, তাহলে সেই অ্যাকাউন্টটিকে NARCL-এর মতো Asset Reconstruction Company (ARC)-র কাছে পাঠানো হতে পারে। এর ফলে বড় লোনগুলি পুনরুদ্ধারের উপর আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবে ব্যাঙ্কগুলি।
সেরা কুড়িতে থাকা সর্ববৃহৎ খারাপ লোন:
অর্থ মন্ত্রকের তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, নিজেদের সেরা কুড়ি সর্ববৃহৎ এনপিএ-গুলিকে নিয়মিত ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। সেই সঙ্গে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে কমিটি অফ ক্রেডিটরের সঙ্গে বাকি থাকা সেটেলমেন্টের প্রস্তাবের উপরেও নজর রাখতে হবে। এদিকে PSB Alliance-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই নতুন রিকভারি সংস্থা সম্পূর্ণ ভাবে কাজ শুরু করবে এই অর্থবর্ষের মধ্যেই।