অর্গানিক মাছ চাষে মাছের খাবার হিসেবে বাজারের তৈরি খাবার ব্যবহার না করে জলাশয়ে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। মাছ ছাড়ার আগে জলাশয়ের মাটিতে ফাইটোপ্লাংটন ও জু প্লাংটন সহজে বৃদ্ধি পায়, তার জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়। মাছ চাষিরা জানিয়েছেন, জমিতে যেমন ভাল ফসলের জন্য সার ব্যবহার করতে হয়, ঠিক তেমনই জলাশয়ে নির্দিষ্ট মাত্রায় জৈব ও অজৈব সার ব্যবহার করা হলে পানিতে প্রাকৃতিক খাদ্যের উপাদান বাড়ে, যা মাছের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক হয়।
advertisement
বসিরহাটের আন্দুলপোতার মাছচাষি সাহেব আলি জানিয়েছেন, “মাছ ছাড়ার আগে জলাশয়ের মাটিতে চুন ও খোল ছড়িয়ে দিতে হয়। এতে মাটিতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ফাইটোপ্লাংটন ও জু প্লাংটন ভালোভাবে তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: PM KISAN: পিএম কিষান সুবিধাভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ! জেনে নিন
পরে এই প্রাকৃতিক খাবার থেকেই মাছ খাবার সংগ্রহ করে, এতে বাজারের রাসায়নিক খাবারের ব্যবহার কমে যায়।” এই পদ্ধতিতে মাছের স্বাদ যেমন ভাল হচ্ছে, তেমনি উৎপাদন খরচও অনেকটাই কমছে। পাশাপাশি, রাসায়নিকের ব্যবহার কমায় পরিবেশও রক্ষা পাচ্ছে। মাছ চাষিদের দাবি, এই অর্গানিক পদ্ধতিতে মাছ চাষে এলাকায় মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, যা ভবিষ্যতের টেকসই মৎস্যচাষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিশা দেখাচ্ছে।
জুলফিকার মোল্যা