সোজা কথায়, সিবিল স্কোর (Cibil Score) হল ঋণের (Loan) তথ্য ভাণ্ডার। গ্রাহক যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন অথবা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেন, তখন তার হিসেব জমা পড়ে সিবিলের খাতায়। যে ঋণ চলছে, আগে যে ধার নেওয়া হয়েছে, ঋণ নিয়মিত মেটানো হচ্ছে কি না, কত টাকা বাকি - এই সমস্ত তথ্যই লেখা থাকে সেখানে। তাই কেউ যদি আগের ধার না মেটায় বা ক্রেডিট কার্ডের বিল মেটাতে গরিমসি করে তাহলে সরাসরি সিবিল স্কোরে প্রভাব পড়ে। এখানে ৫টি কৌশলের হদিশ দেওয়া হল, যাতে সিবিল স্কোরের দ্রুত উন্নতি হবে।
advertisement
আরও পড়ুন - Bappi Lahiri Passes Away: অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনেয়ায় মৃত্যু হল বাপ্পি লাহিড়ির, কি সেই রোগ
ক্রেডিট লিমিট কম রাখতে হবে
ক্রেডিট লিমিটের কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যাঙ্কগুলো লোন দেওয়ার সময় এটা খতিয়ে দেখে। তাই ক্রেডিট লিমিট ৩০ শতাংশের কম রাখা উচিত। যদি কেউ ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ব্যবহার করেন তাহলে ব্যাঙ্কের কাছে এই বার্তা যায় যে নিজের খরচ চালাতে সে ধারের উপরেই বেশি নির্ভরশীল।
সময়মতো পুরো টাকা মেটাতে হবে
ফোন, জল, ইলেকট্রিক, ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়ে মেটাতে হবে। পাশপাশি পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সামান্য পরিমাণে অর্থ জমা করে প্রাথমিক ভাবে রেহাই পাওয়া গেলেও তা ভবিষ্যতে বোঝা বাড়িয়ে চলে। খারাপ হয় সিবিল স্কোর।
আরও পড়ুন -Bappi Lahiri Passes Away: বাপ্পি লাহিড়ি আজ আর নেই, রইল তাঁর বিপুল সোনা ও সম্পত্তি
জয়েন্ট অ্যাকাউন্টেও নজর দিতে হবে
যদি কোনও জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে সহ-অ্যাকাউন্ট হোল্ডার যাতে সময়মতো বিল মেটান। নাহলে সেটা সিবিল স্কোর কমাতে পারে। তাই জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ধার পরিশোধ যাতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বছরে ৩ বার ক্রেডিট হিস্ট্রি দেখতে হবে
সিবিল রিপোর্টের দিকে সবসময় নজর রাখতে হবে। ৪ মাস পর পর এই ক্রেডিট হিস্ট্রি পর্যালোচনা করা উচিত। এথেকে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাবে, কোন কোন লোন সঠিক ভাবে দেওয়া হয়েছে, কোথায় কোন পেমেন্ট বাকি।
একসঙ্গে একাধিক জায়গায় ঋণের আবেদন করা ঠিক নয়
নতুন ক্রেডিট কার্ড বা লোন নিতে চাইলে একসঙ্গে একাধিক জায়গায় আবেদন করা উচিত নয়। এতে সিবিল স্কোরের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। বার বার সিবিল স্কোর চেক করাও ঠিক নয়। এতে কোম্পানিগুলি মনে করতে পারে, আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গ্রাহকের সন্দেহ আছে।