প্রত্যেকেই ভবিষ্যতের জন্য ফিনান্সিয়াল প্ল্যানিং করে মাসিক খরচের পর সঞ্চয় বিভিন্ন দিকে বিনিয়োগ করে রাখে। ঠিক একই ভাবে এই পরিকল্পনার তালিকায় এমার্জেন্সি ফান্ডকেও রাখতে হবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই তহবিল কীভাবে তৈরি করা যাবে এবং এমার্জেন্সি ফান্ড (Emergency Fund) হিসেবে কত টাকা রাখতে হবে?
advertisement
এমার্জেন্সি ফান্ডের প্ল্যানিং
আমরা যেভাবে দৈনিক বা মাসিক আয় থেকে কিছু টাকা সরিয়ে ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন দিকে বিনিয়োগ করে থাকি ঠিক একইভাবে এই সঞ্চয়ের কিছু অংশ এমার্জেন্সির জন্য আলাদাভাবে একটি তহবিলে জমা রাখতে হবে। এই ফান্ড তৈরি করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই তহবিলের টাকা এমার্জেন্সি ছাড়া অন্য কোনও কারণে ব্যবহার করা যাবে না। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সেই হিসেবে পরিকল্পনা করে ফান্ডটি তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন-কী করে বুঝবেন ফ্রিজে রেখে দেওয়া মুরগির মাংস খারাপ হয়ে গিয়েছে? রইল জেনে নেওয়ার সহজ উপায়
এমার্জেন্সি ফান্ডে মাসিক আয়ের ৬ গুণ টাকা রাখতে হবে
এমার্জেন্সি ফান্ডের মূল নিয়ম হল, মাসিক আয়ের ৬ গুণ টাকা এই তহবিলে জমা রাখতে হবে। এই জরুরি তহবিলে কমপক্ষে ৬ মাস সংসার চালানোর জন্য সঞ্চয় জমানো উচিত। অর্থাৎ, কোনও ব্যক্তির মাসিক খরচ ৫০ হাজার টাকা হলে জরুরি তহবিলে তাঁকে ৩ লক্ষ টাকা রাখতে হবে। এমার্জেন্সি ফান্ড থাকলে তা স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য পূরণেও সাহায্য করবে। এই সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসার খরচ বা আর্থিক টানাপোড়েনের সমস্যা মেটানো যাবে।
আরও পড়ুন-Healthy Lifestyle: যৌন মিলনের পরেই এই জিনিসটা ঘটছে ? এর কী প্রভাব শরীরে পড়তে পারে জানুন
কীভাবে এমার্জেন্সি ফান্ড জমা করা যাবে?
জরুরি তহবিলের অর্থকে এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যেখান থেকে খুব সহজেই টাকা তোলা যাবে। নগদ টাকা হিসেবে সাধারণ সেভিংস ব্যাঙ্ক (Savings Bank Account) অ্যাকাউন্টে জমা করা যেতে পারে যেখান থেকে যে কোনও সময় কার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে টাকা তোলা যাবে। এটিকে লিকুইড মিউচুয়াল ফান্ড (Liquid MF) হিসেবেও বিনিয়োগ করা যেতে পারে কারণ এই তহবিলের টাকা শুধুমাত্র মানি মার্কেট সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়।