আরও পড়ুন: ১৭৬.৭০ শতাংশ রিটার্ন, মন্দার বাজারেও বড়লোক করে দিয়েছে এই মাল্টিব্যাগার স্টক!
কেন বন্ধ হয়ে গেল? সুইগি বলছে, এই পরিষেবা দিয়ে লাভ হচ্ছে না কোম্পানির। তাছাড়া এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে খরচ এবং লোকসান কম রাখার দিকে ফোকাস করছে কর্তৃপক্ষ। তাই এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হল।
এই সব শহরে পরিষেবা বন্ধ: যে সব জায়গায় সুইগির ‘সুপার ডেলি’ পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি-এনসিআর, মুম্বই, চেন্নাই, পুণে, হায়দরাবাদের মতো বড় শহর। কোম্পানি জানিয়ে দিয়েছে, ১২ মে থেকে এই শহরগুলিতে আর ‘সুপার ডেলি’ পরিষেবা মিলবে না। ১০ মে থেকে নতুন অর্ডার নেওয়ার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে সব গ্রাহক অগ্রিম দিয়ে রেখেছেন আগামী ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এই কোম্পানির ক্রেডিট কার্ডে বাড়িতে বসে গোল্ড লোন পাওয়া যাবে, জেনে নিন বিশদে
তবে বেঙ্গালুরুতে কোম্পানির এই সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক পরিষেবা আগের মতোই চলবে। সুইগির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সুপার ডেইলির সিইও দানি কিশান এডেপালি বলেছেন যে ব্যবসার পুনর্গঠন করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে পরিষেবাটি বন্ধ করার জন্য একটি বিশদ পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। তবে বেঙ্গালুরুতে এই পরিষেবা বাড়ানোর জন্য দ্বিগুণ চেষ্টা করা হবে।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে বিরাট পতন ! মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের
আপাতত লক্ষ্য অর্জন: এই পরিষেবা বন্ধের প্রসঙ্গে কর্মচারীদের মেল করে দানি কিশান জানিয়েছেন, ‘এখন আমরা গ্রাহকদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোম্পানি এখনও লাভের মুখ দেখেনি। তাই এই পরিষেবার পিছনে অর্থ এবং সময় ব্যয় আমরা আর করব না। এভাবে চলতে গিয়ে কোম্পানি তার প্রাথমিক লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে’।
তিনি আরও বলেছেন, বাজারে টিকে থাকতে গেলে নিজেদের এমনভাবে সংগঠিত করতে হবে যাতে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হয়। আইআইটি বম্বের দুই প্রাক্তনী শ্রেয়স নাগড়াওয়ানে ও পুনিত কুমার ২০১৫ সালে নিজেদের উদ্যোগে ‘সুপার ডেলি’ পরিষেবা শুরু করেছিলেন। পরে তাঁরা সুইগি-কে ব্যবসা হস্তান্তর করে দেন। ২০১৮-র মাঝামাঝি সুইগি নিজেদের মতো করে এই ব্যবসা চালু করে।