বিক্রম, জীতেশ, শুভম-রা প্রত্যেকেই ব্যস্ত, কেউ শিক্ষক তো কেউ ইঞ্জিনিয়ার তো কেউ আবার মেডিক্যাল পড়ুয়া। নিজেদের পেশাগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও খাবারের প্রতি ভালবাসা ও আবেগের জেরে প্রত্যেকেই সময় বের করে হাত লাগান মোমো ব্যবসায়। এটি শুধুমাত্র তাদের ব্যবসা নয় তাদের আবেগ। ভবিষ্যতে এটিকে একটি ব্র্যান্ড বানাতে চান তারা এবং শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের বিভিন্ন রাজ্যেও দোকান করার ইচ্ছা রয়েছে তাদের।
advertisement
রাজ্য তথা দেশে কী এমন পরিস্থিতি এল যে খোদ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের মোমো বিক্রি করতে হচ্ছে? তবে কী চাকরীর পরিস্থিতি ভাল না? উত্তরে জীতেশ ও শুভম-রা জানান, “চাকরির মন্দা তো আছেই তবে সবকিছু ছাড়িয়ে একটা ভালবাসা ও আবেগের টানেই এই ব্যবসা, বলতে পারেন অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা। ব্যবসায়িক সফলতা মিললে ভবিষ্যতে চাকরী ছেড়ে ব্যবসা বড় করার ইচ্ছা আছে। খাদ্যরসিকদের প্রচুর সাড়াও পাচ্ছি। আমরা প্রত্যেকেই কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ শিক্ষক তো কেউ আবার ডাক্তারি পড়ুয়া সকলেরই খাবারের প্রতি একটা ভালবাসা আছে তার থেকে এই ব্যবসা শুরু। লকডাউনের পর আমরা দেখি বর্ধমানের ভাল ব্র্যান্ডেড কোম্পানির মোমোর দাম বেশি আর যেখানে দাম কম সেখানে হয়ত সেইভাবে হাইজিন মেন্টেন হয় না। তাই মোমোর ব্যবসা শুরুর চিন্তাভাবনা। আমরা চেয়েছিলাম কম দামে ভাল মোমো তৈরি করতে। প্রথম চারজন মিলে শুরু করেছিলাম এই ব্যবসা ধীরে ধীরে আরও বন্ধুবান্ধবরা যুক্ত হয়েছে এর সঙ্গে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সমাজের বেঁধে দেওয়া ধারণা, যে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার মানেই কর্পোরেট বা সরকারি চাকরি—তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন তাঁরা। তাদের এই উদ্যোগ শুধু একটি ব্যবসা নয়, বরং গতানুগতিক পেশার বাইরে গিয়ে আবেগের মূল্য দেওয়ার এক সাহসী পদক্ষেপ।





