আরও পড়ুন: একবার ফুল ট্যাঙ্ক ভর্তি করলে ৬৫০ কিমি দৌড়বে এই নতুন গাড়ি
২০০৪ সালে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন কাঠামোর আওতায় পড়েন। এনপিএসের আওতায় প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে একটি 'পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর' দেওয়া হয়। বাধ্যতামূলকভাবে বেতনের ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হয় তাঁদের। সেইসঙ্গে সরকারও অর্থ প্রদান করে। আগে যা ছিল ১০ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে।
advertisement
অবসরের পর সেই জমানো অর্থের ৬০ শতাংশ একলপ্তে তুলতে পারবেন কর্মচারীরা। পাশাপাশি সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এবং নথিভুক্ত বিমা সংস্থা থেকে অ্যানুইটি কেনার জন্য তাঁকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সেই অ্যানুইটির উপর যে সুদ পাওয়া যায়, তাই মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। অর্থাৎ নয়া পেনশন প্রকল্প বাজার নির্ভর।
আরও পড়ুন: LIC পলিসির সঙ্গে লিঙ্ক করাতে হবে আধারের, অনলাইন-অফলাইনে কীভাবে সম্ভব? জানুন এখনই
কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে। ফলে চাকরিজীবীদের একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে।
আরও পড়ুন: নিউ জীবন মঙ্গল, মাত্র ৬০ টাকা বিনিয়োগেই LIC পলিসি! জানুন বিস্তারিত!
পুরনো এবং নতুন পেনশন প্রকল্পের মধ্যে পার্থক্য:
পুরনো পেনশন প্রকল্প -
১। জিপিএফ সুবিধা
২। পেনশনের জন্য বেতন থেকে কোনো টাকা কাটা হয় না।
৩। অবসরের সময় নির্দিষ্ট পেনশন অর্থাৎ শেষ বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়।
৪। পুরো পেনশন সরকার দেয়।
৫। চাকরিকালে মৃত্যু হলে আশ্রিত ব্যক্তি পারিবারিক পেনশন ও চাকরি পান।
নতুন পেনশন প্রকল্প –
১। প্রতি মাসে বেতন থেকে কেটে নেওয়া হয় ১০ শতাংশ।
২। স্থায়ী পেনশন নিশ্চিত করা হয় না। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে শেয়ারবাজার ও বিমা কোম্পানিগুলোর উপর।
৩। নতুন পেনশন বিমা কোম্পানি দেবে। কোনও সমস্যা হলে বিমা কোম্পানির সঙ্গে লড়াই করতে হবে।
৪। মূল্যস্ফীতি ও বেতন কমিশনের সুবিধা পাওয়া যাবে না।