তবে সচরাচর আমরা যে ফুলকপি বাজার থেকে কিনে আনি বা বাজারে দেখতে পাই সবই সাদা রংয়ের। কিন্তু সাদা ছাড়াও অন্যান্য রঙের ফুলকপি হয় এ আমাদের ধারণার বাইরে। বেগুনি সবুজ হলুদ নানা রঙের ফুলকপি কোলাঘাট পাঁশকুড়া বাজারে ছেয়ে গেছে। এই রং বেরঙের ফুলকপিতে মজেছে খাদ্য রসিক বাঙালি থেকে উৎসাহী সাধারণ মানুষ। অভিনব চাষের নেশা থেকে তিনি এই রঙ বেরঙের ফুলকপি চাষ করার কাজ শুরু করেছেন ২০২২ সাল থেকে। বর্তমানে ভালো ফলন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি এবং এর বাজার মূল্য বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে তার থেকেই। রঙিন ফুলকপি চাষ নিয়ে প্রমথ বাবু জানিয়েছেন, ‘এবছর রঙিন ফুলকপির বাজারে যথেষ্ট কদর রয়েছে। বাজারে গড়ে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে এই রঙিন ফুলকপি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৫ মাসের স্পেশাল FD, মালামাল হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ, HDFC -এর এই স্কিমের খুঁটিনাটি দেখে নিন
স্থানীয় দেউলিয়া কোলাঘাট এবং খুকুড়দহ সবজি বাজারে এই রঙিন ফুলকপি বিক্রি করছেন। এছাড়াও বাড়ি থেকেও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এই রঙিন ফুলকপি। তার এই রঙিন ফুলকপি চাষ দেখতে বহু কৃষক আসছেন তার এই ফুলকপি ক্ষেতে। পর্যায়ক্রমে চাষ করছেন তিনি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাজার যাতে রঙিন ফুলকপি বাজারজাত করতে পারবেন।’সাধারণ ফুলকপি থেকে রঙিন ফুলকপির যথেষ্ট এই বাজারদর রয়েছে। আগামী বছর আরও বৃহৎ আকারে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করতে ইচ্ছুক প্রমথনাথ মাজী। প্রতি ডেসিমেলে ১৫০ টি এর মত চারা লাগে এবং লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মাথায় ফলন পেতে শুরু করেন কৃষক।
আরও পড়ুন: ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ঘরে আনুন ১৫ লাখ টাকা, দেখে নিন কী করতে হবে
সবমিলিয়ে সাধারণফুলকপির থেকে বেশি লাভদায়ক এই রঙিন ফুলকপি। পুষ্টিবিদরা মনে করেন এই ধরনের ফুলকপির বিপুল গুনাগুন রয়েছে। যে কারণে বাজারে সাধারণ ফুলকপির চেয়ে ফুলকপির চাহিদা অনেকটাই বেশি।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটের বিভিন্ন সবজি বাজারে প্রমথনাথ মাজীর কারণে রঙিন ফুলকপি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।প্রমথ নাথ মাজীর প্রথাগত চাষ বাদ দিয়ে নতুনত্ব চাষ করার প্রবণতা দীর্ঘদিনের। সফলভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন প্রথাগত চাষ না করেও সফল হওয়া যায়।
সৈকত শী