জেলায় সোনর শিল্পীদের সারা বছর কাজ থাকলেও ধনতেরাসের আগে যেন তাঁদের দম ফেলার ফুরসত নেই। শিল্পীরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে থেকেই তাঁরা ধনতেরাসের গয়না তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন। পুজোর কয়েকদিন বাড়িতে কাটিয়ে এবার পুরোদমে কাজ করে চলেছেন। আর সমস্ত কাজ চলছে ধনতেরাসকে লক্ষ্য রেখেই।
আরও পড়ুনঃ যেমন দেখতে-তেমনই নাম! বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ের নাম কে দিল জানেন? অদ্ভুত এই ইতিহাস শুনে চমকে উঠবেন
advertisement
তবে সোনার গয়নার চেয়ে রুপোর গয়নার শিল্পীদের ব্যস্ততা বেশি বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে শ্যামা জুয়েলার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছর যেভাবে সোনার দর বেড়েছে তাতে ধনতেরাসের কথা ভেবে মালিক রুপোর গয়নার প্রতি জোর দিয়েছেন। সাধারণ পরিবারের কথা ভেবে পাঁচশো থেকে হাজার টাকার মধ্যেই কম ওজনের রুপোর গয়না বেশি তৈরি করা হচ্ছে। এমনকী অন্য জায়গা থেকেও প্রচুর পরিমাণ কম ওজনের চাঁদির গয়নার আমদানি করা হচ্ছে।
রুপো বেশি কেনা হলেও সোনার বাজারও খুব একটা খারাপ নয়। সেটাও শিল্পীরা জানিয়েছেন। হঠাৎ করে সোনার দর বেড়ে যাওয়ায় কম ওজনের আংটি, কানের দুল থেকে অন্যান্য গয়নার চাহিদা রয়েছে। গত একমাসে রুপোর দাম কেজিতে ৫০ হাজার টাকা বেড়েছে। গতবছরের চেয়ে এবার ধনতেরাসের সময় রুপোর দাম প্রায় ৭০ হাজার টাকা বেশি। রুপোর দাম বাড়তে থাকায় ধনতেরাসে রুপো কেনায় মধ্যবিত্তের ঝোঁক বাড়ছে। তবে ১০ গ্রাম সোনার দাম ধনতেরাসের আগেই ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা পার করেছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মাথায় হাত পড়েছে।