গৃহঋণ নেওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হল অ্যালটমেন্ট পেপার। এটা একমাত্র ডেভেলপার বা হাউজিং কর্তৃপক্ষ দিতে পারে। এতে বাড়ি, প্লট বা ফ্ল্যাটের মতো যে কোনও সম্পত্তির সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়া থাকে। অ্যালটমেন্ট পেপার কোনও বিক্রয় চুক্তি নয়। এটা প্রথমে বাড়ির মালিককে জারি করা হয়। অন্য মালিকরা বিক্রেতার কাছ থেকে আসল চিঠির একটি অনুলিপি চাইতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: দু’মাসে ৪৪ থেকে বেড়ে ৫৩০ টাকা, ১০০০ শতাংশ রিটার্ন! আপনি কিনেছেন এই স্টক?
এখন প্রশ্ন হল, যদি এমন কেউ বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে চান যার আসল অ্যালটমেন্ট পেপার হারিয়ে গিয়েছে, তাঁর ক্ষেত্রে কী হবে? ব্যাঙ্ক কি তাঁকে বাড়ি কেনার জন্য গৃহঋণ দেবে? অ্যালটমেন্ট পেপার হারিয়ে যাওয়ার পর তিনি একটি ই-এফআইআর দায়ের করেছেন এবং ক্ষতিপূরণ বন্ড জমা দিয়ে সিটিসি-ও নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে মাসে ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগে ১৬ লক্ষ টাকা রিটার্ন!
এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। কিছু ব্যাঙ্ক পাবলিক নোটিস দেওয়ার পরে এবং ক্ষতিপূরণ বন্ড জমা দিয়ে প্রত্যয়িত কপি দেখালে ঋণ দিয়ে দেয়। একই সময়ে, কিছু ব্যাঙ্ক আছে যারা আরও কিছু কাগজপত্র দেখতে চায়।
ক্রেতা কী করবেন?
যদি এমন কেউ বাড়ি কেনার লোন নিতে চান যাঁর কাছে আসল অ্যালটমেন্ট পেপার নেই, প্রথমেই তাঁকে সেই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর ব্যাঙ্ক কিছু অনুসন্ধান চালাবে। এফআইআর করা হয়েছে কি না, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের বর্তমান মালিক ইংরেজিতে এবং স্থানীয় ভাষার সংবাদপত্রে অ্যালটমেন্ট পেপার হারানোর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল কি না সে সব খতিয়ে দেখা হবে।
সাধারণত, দাবি এবং আপত্তি ফাইল করার সময় লাগে ৭ থেকে ২১ দিন। অন্য দিকে, বাড়িওয়ালা যদি টানা ১২ বছর ধরে বাড়িটি দখল করে থাকেন, তাহলে সেই বাড়ির মালিকানা প্রমাণের জন্য এটি একটি ভালো প্রমাণ হিসেবে গণ্য হয়। ব্যাঙ্কগুলি এটিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং হোম লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে এটা খুব সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।