ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কেন্দ্র সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই নিয়ে জল্পনা ছিল। বাজেট অধিবেশনে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) ঘোষণা করেন, ক্রিপ্টো থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর ধার্য হবে। এ ছাড়া এর লেনদেনে ১ শতাংশ টিডিএস কাটার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশাল সুযোগ! এক টাকার এই সাধারণ নোট থাকলেই পাবেন ৭ লক্ষ টাকা
advertisement
আগামী অর্থবর্ষের ১ এপ্রিল থেকেই এই নিয়ম লাগু হবে। শুধু তাই নয়, ৩০ শতাংশ করের উপরে সেস এবং সারচার্জও দিতে হবে। আসলে ক্রিপ্টো থেকে আয়কে লটারি জেতা কিংবা ঘোড়দৌড়ে বাজি জেতার মতো ফাটকা হিসাবে বিবেচনা করছে কেন্দ্র।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে রাজস্ব সচিব তরুণ বাজাজ (Tarun Bajaj) বলেছেন, ‘এটা বরাবরই করযোগ্য ছিল। বাজেটে কোনও নয়া কর ঘোষণা হয়নি। শুধুমাত্র এই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘অর্থ বিলে ভার্চুয়াল ডিজিটাল সম্পদের উপর কর সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। তবে এর ফলে ক্রিপ্টো আইনি স্বীকৃতি পেল, তা নয়’।
আরও পড়ুন: আপনিও কী এরকম লেনদেন করেন ? তাহলে হয়ে যান সাবধান...
বাজাজের এই মন্তব্যের পর এটা পরিস্কার যে ক্রিপ্টো থেকে প্রাপ্ত মুনাফা আর লুকনো যাবে না। কেউ যদি তা করতে চায়, তাহলে সেটা কালো টাকা হিসেবে গণ্য হবে। উল্লেখ্য, ভারতে খুব দ্রুত ক্রিপ্টোর বাজার বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে প্রায় ১.৫ কোটি মানুষ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁদের আনুমানিক ক্রিপ্টো হোল্ডিং রয়েছে প্রায় চল্লিশ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থসচিব টি ভি সোমনাথন (TV Somnathan) স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিটকয়েন, ইথেরিয়াম বা নন-ফানজিবেল টোকেনের (এনএফটি) মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি কখনও সরকার স্বীকৃত মুদ্রার তকমা পাবে না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সরকার অনুমোদন দেয়নি, কখনও দেবেও না। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করছে সেটা সরকার স্বীকৃত। বাকি আর কোনও ডিজিটাল মুদ্রাকেই সরকার স্বীকৃত হিসেবে গণ্য করা হবে না। যাবতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল সম্পদকে দেখা হবে শুধুমাত্র সম্পত্তি হিসেবেই’।
