এর দাম বৃদ্ধির পিছনে অবশ্য রয়েছে নানা ধরনের কারণ। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে আইজিএল যুক্তি দিয়েছে যে, ইনপুট খরচ বৃদ্ধির কারণে সংস্থাটি পিএনজি-র দাম বাড়িয়েছে। দেশের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস বণ্টন সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইন্দ্রপ্রস্থ গ্যাস লিমিটেড। এরা দিল্লি এবং দিল্লি সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। এর একটা বিশেষ সুবিধা রয়েছে, আর সেটা হল- গ্যাস ব্যবহারের পরে গ্রাহক এই বাবদ খরচ পরিশোধ করতে পারেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিলিং, বিলিংয়ের পদ্ধতি এবং আরও বেশি বিল নেওয়ার ক্ষেত্রে তার রিফান্ডের ক্লেম (Refund Claim) করার উপায় সম্পর্কে বিশদে জেনে নেব।
advertisement
আরও পড়ুন: 'এবার ওঁর ২ বছরের ছেলেকেও নোটিস দেবে', অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে মমতার বড় বার্তা
মিটারের ভিত্তিতে মেটাতে হয় বিল:
জানিয়ে রাখা ভালো যে, পিএনজি গ্যাসের বিলিং সাইকেল দুই মাসের হয়। গ্রাহকের বাড়িতে মিটারটি ইনস্টল করা থাকে এবং তার ভিত্তিতেই সেই গ্রাহককে বিল মেটাতে হয়। পিএনজি-র খরচের পরিমাণ সাধারণত ইউনিটে গণনা করা হয় এবং এর জন্যই গ্রাহকের থেকে শুল্ক নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: 'তোমাকে যদি আদালতে ল্যাজে গোবরে না করি আমার নাম অভিষেক না'
মিটার রেকর্ড দেখতে সংস্থার তরফে বাড়িতে আসে আধিকারিকেরা:
সাধারণত এসএমএস বা ই-মেলের মারফত বিলিংয়ের বিষয়ে গ্রাহকদের অবহিত করে সংস্থা। আর বিল তৈরি করতে এবং মিটার রিডিং রেকর্ড দেখতে পাঠানো হয় আধিকারিকদের। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে শুধুমাত্র তাঁর মিটারের রেকর্ডের ভিত্তিতেই। অর্থাৎ গ্রাহকের কাছ থেকে কোনও অতিরিক্ত টাকা চার্জ করা হবে না। শুধু তা-ই নয়, এই সংস্থাটি গ্রাহকদের সেলফ-বিলিংয়ের অপশনও দিয়ে থাকে।
সেলফ বিলিংয়ের পদ্ধতিটা ঠিক কী রকম?
সেলফ-বিলিংয়ের জন্য গ্রাহককে ফোন থেকে নিজের মিটারের একটি ছবি তুলতে হবে এবং সেটিকে অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এই ভাবে একটি সেলফ বিল জেনারেট হবে। আর তার ভিত্তিতেই গ্রাহককে বিল মেটাতে হবে।
কী-ভাবে রিটার্ন পাবেন গ্রাহক?
ধরা যাক, বিলিং সাইকেলের সময় গ্রাহক বাড়িতে রইলেন না এবং এক ইউনিট গ্যাসও তিনি ব্যবহার করেননি। প্রশ্ন হচ্ছে, সে-সব ক্ষেত্রে কী হবে? সংস্থা সূত্রে খবর, এই ধরনের ক্ষেত্রে গ্রাহককে ৪ এসসিএম ন্যূনতম শুল্ক পরিশোধ করার জন্য একটি বিল পাঠাবে। এ-বার গ্রাহকের যদি মনে হয় যে, বিলে আসা টাকার অঙ্ক বেশি হয়ে গিয়েছে, সে-ক্ষেত্রে তিনি গ্রাহক পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তা-হলে এই বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এ-বার গ্রাহক সংস্থার নীতি, নিয়ম এবং শর্তাবলী সাপেক্ষে একটি রিফান্ড ক্লেম করতে পারেন। গ্রাহকের যদি মনে হয়, বেশি টাকা চাওয়া হয়েছে, তা-হলে সেই টাকা তিনি রিফান্ড চাইতে পারেন। সাধারণত সংস্থাগুলি এই রিফান্ডের অনুরোধ গ্রহণ করে এবং যাচাই বা ভেরিফিকেশনের পরে অতিরিক্ত টাকা গ্রাহককে রিফান্ড দেয়।