আরও পড়ুন: শুধু ১৫ বছর এই কাজ করুন, পকেটে থাকবে ১ কোটি টাকার বেশি, ৪০-এই নিতে পারবেন অবসর
আমেরিকার পাশাপাশি আফ্রিকার ঘানা, আইভরিকোস্ট, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন এ ফল চাষ হয়। কোকো গাছে ফুল ও ফল ধরতে সময় লাগে তিন-চার বছর। ফুল ফলে পরিণত হয় ছয় মাসে। প্রতিটি কোকো ফলের পাঁচটি সারিতে ৩০-৪০টি বীজ থাকে। এই গাছের বীজ সংগ্রহ করে রোদে শুকানো হয়। শুকানো কোকো বীজ সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে শাঁস পাওয়া যায়, যাকে বলে কোকো বিন। এই কোকো বিন থেকে অতি মূলবান কোকো গুঁড়ো দিয়ে উৎকৃষ্টমানের চকোলেট, মাখন, আইসক্রিম, রুটি সহপানীয় তৈরি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ৫ লাখ টাকা দিয়ে মিলবে ১.৫ কোটি রিটার্ন! নিশ্চিন্তে কাটবে অবসর জীবন, বিনিয়োগ করুন এভাবে
বসুন্ধরা নার্সারি শাহরুখ ইসলাম জানান, “পরীক্ষামূলকভাবে কোকো গাছ রোপন করেছিলাম ২ বছর আগে, ভালো ফলন হওয়ায় এবার এর থেকে চারা গাছ তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। এই গাছের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময়ও আছে।” কোকো চির সবুজ গাছ, দেখতে ঝোপাল, ৭ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত উঁচুু হতে পারে। কোকো গাছ এমন একটি জায়গায় লাগানো দরকার যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পড়বে না। সাথী ফসল হিসেবে কোকো গাছ লাগানো যেতে পারে। এ রাজ্যের জলবায়ু কোকো চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত।
ছাদ বাগানেও কোকো ফল চাষ করা যায়। কোকো গাছ ছাঁটাই করে গাছকে ছোট করে রাখা যায় এবং বড় বড় ছায়াবীথির নিচে এদের শ্রীবৃদ্ধি ভালো হয়। কোকো ফল রক্তচাপ কমায়। রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। এটি সুখের উৎস। কোকো ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ। একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধ করে, কাশি কমায়। হার্টের জন্য ভালো। মস্তিষ্কের উন্নয়ন করে। সব মিলিয়ে চকলেট প্রস্তুতকারক এবং একাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই গাছ চাষ করে ভাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় আছে।
জুলফিকার মোল্যা