প্রথম ব্যবসা শুরু করেছিলেন মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে। আজ এই খাবারের ব্যবসা থেকে মাসে আয় হয় প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি টাকা। মুনমুন দে রাউত এবং তাঁর স্বামী সমীর রাউত। বাড়ি বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর শান্তিপাড়া এলাকায়। মুনমুন প্রথম থেকেই ভাল রান্না করতেন। আর এই রান্নায় এখন মুনমুনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। হোম ডেলিভারি খাবারের পাশাপাশি মুনমুন এবং সমীর একটি ফুডস্টলও ওপেন করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দীপাবলিতে অনলাইন কেনাকাটা তুঙ্গে! এত কী কিনছেন দেশের মানুষ? জানলে চমকে যাবেন
মুনমুন জানিয়েছেন, “আমার অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা ছিল কম পয়সায়, কম বাজেটে সকলকে যাতে খাওয়াতে পারি। সেই কারণেই বেশ কিছু আইটেম নিয়ে আমি এই স্টল ওপেন করেছি। বর্তমানে আমার এই স্টলে ১৫ রকমের আইটেম পাওয়া যায়। বাড়িতে প্রায় ৫০/৬০ রকমের খাবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিই।”
ফুড স্টলে পাওয়া যায় বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফ্রাইড রাইস, মটন কষা, চিলি চিকেন, রুটি, খাসির মাংসের ঘুগনি সঙ্গে আরও বেশ কিছু খাবারের পদ। ‘যেমন কথা তেমন কাজ’, সব খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম। মাত্র ৫০ টাকায় পাওয়া যায় বাসন্তী পোলাও অথবা ফ্রাইড রাইসের সঙ্গে চিকেনের যে কোনও আইটেম। মটন নিলে দাম পড়বে ১০০ টাকা। চিকেন-মটন থাকবে ২ পিস এবং সাইজেও বেশ বড়। মুনমুনের রান্নার স্বাদ হার মানাবে বড় বড় রেস্তোরাঁর রান্নার স্বাদকেও।
আরও পড়ুনঃ ধনতেরস-দীপাবলি, ৮ বিরল যোগে রাজার মুকুট পরবে এই রাশি, টাকার সমুদ্রে ভাসবে
ইতিমধ্যেই মুনমুন, সমীরের ফুডস্টলে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন অনেকেই, চারচাকা দামি গাড়ি থামিয়ে মুনমুনের তৈরি খাবার বাড়িও নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। সবমিলিয়ে বর্ধমান শহরে এখন বেশ কদর বেড়েছে মুনমুনের হাতের তৈরি রান্নার। এক কাস্টমার বলেন, দামের তুলনায় খাবার অনেক ভাল। এখানে প্রায় খাবার খাই। খাবারের কোয়ালিটি বেশ ভাল। একদম ফ্রেশ খাবার মেলে।
মুনমুন এবং সমীরের একটি মেয়ে রয়েছে। ভাল\বেসে মেয়ের নাম রেখেছেন মুসুর। তাদের স্টলের নামও রয়েছে সেই নামেই , মুসুর রান্নাঘর। বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন থেকে উল্লাস মোড় যাওয়ার দিকে, রাস্তার ডান তাঁদের এই ফুডস্টল। স্টল খোলা থাকে দুপুর ১টা থেকে রাত দশ’টা পর্যন্ত। আগামিদিনে অনলাইন খাবার ডেলিভারি অ্যাপেও মুনমুনের রান্নার স্বাদ আপনারা নিতে পারবেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী